তিনি তেহরানে নিযুক্ত মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইরানের এ অবস্থান তুলে ধরেন। রায়িসি বলেন, আমরা মনে করি বিশ্বের যেকোনো স্থানে যারাই তাদের ভূখণ্ড, নারী, শিশু ও ধর্ম রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিরোধ সংগ্রামের কথা চিন্তা করে তাদেরকে সমর্থন ও উৎসাহ দেয়া উচিত।
বিশ্ব কুদস দিবস উপলক্ষে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, অধিকৃত আল-কুদসকে মুক্ত করা মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু হওয়া উচিত। মুসলিম দেশগুলোর চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারনায় সর্বক্ষণ আল-কুদসের মুক্তির উপায় খোঁজা দরকার। ফিলিস্তিনি জাতির শত্রুর প্রতি বিশ্বব্যাপী যে ঘৃণা তৈরি হয়েছে তার প্রতি ইঙ্গিত করে রায়িসি বলেন, চলতি বছরের কুদস দিবসটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপিত হতে যাচ্ছে।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর ইমাম খোমেনী (রহ.) ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবস পালনের আহ্বান জানান। সেই থেকে মুসলিমদের প্রথম কিবলা পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে ইসরাইলি দখলমুক্ত করার আন্দোলনের প্রতীকী দিন হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব কুদস দিবস।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, এ বছরের কুদস দিবস শুধু মুসলমানরা পালন করবে না সেইসঙ্গে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ এই দিবস পালন করতে রাস্তায় নেমে আসবে। তিনি বলেন, আল-কুদসের মুক্তির আন্দোলন মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড় ভিত্তি হতে পারে।#