‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

১৪ এপ্রিল ২০২৪

৭:৫৬:৩৩ PM
1451343

ইসরাইলি ভূখণ্ডে ইরানের বিপুল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইহুদিবাদী সেনাদের বিমান হামলার জবাবে দখলদার ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ব্যাপকভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের এ মিশনের নাম দেয়া হয়েছে ‘সত্য প্রতিশ্রুতি অভিযান' এবং এর কোড বা সংকেতের নাম ছিল 'ইয়া রাসুলাল্লাহ তথা হে রাসুলাল্লাহ'!

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১ এপ্রিল দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় দু’জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ৭ ইরানি সামরিক উপদেষ্টার শাহাদাতের প্রতিশোধ নিতে আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশন ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। 

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ রেজা আশতিয়ানি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ যদি ইসরাইলকে ইরানে হামলা চালানোর জন্য তার ভূখণ্ড বা আকাশসীমা ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আইআরজিসির বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী যেকোনো দেশের কূটনৈতিক মিশন যুদ্ধের সময়ও সর্বোচ্চ সুরক্ষা পায়।  কিন্তু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যখন ইরানি কূটনৈতিক মিশনে হামলার ১০ দিন পরও এর নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয় তখন তেহরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হামলায় কৌশলগত গোয়েন্দা সক্ষমতা ব্যবহার করা হয় এবং ইসরাইলের সামরিক স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালিয়ে সেগুলো সফলভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়।

আইআরজিসি’র বিবৃতিতে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হয়, ইরানের স্বার্থে আঘাত হানার যেকোনো প্রচেষ্টায় আমেরিকা অংশগ্রহণ করলে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন লক্ষ্যবস্তুগুলোতে ‘নিষ্পত্তিমূলক ও অনুশোচনা সৃষ্টিকারী’ হামলা চালানো হবে।বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সব ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের পুরো দায় আমেরিকার এবং এই শিশু হত্যাকারী সরকার যদি এখনই থেমে না যায় তাহলে পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তেল আবিবকে দায়ী থাকতে হবে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিবৃতির শেষাংশে ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় তৃতীয় যেকোনো দেশকে তার ভূমি ব্যবহার করতে দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। #