সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনসুলেট ভবনে গত পহেলা এপ্রিল ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইরান যে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে তারপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত নিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল গতকাল বলেন, জোটের সদস্যরা লুক্সেমবার্গ বৈঠকে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে যে, ইরানের বিরুদ্ধে ড্রোন সম্পর্কিত বর্তমান যে নিষেধাজ্ঞা আছে তার পরিধি বাড়ানো হবে যাতে অন্য দেশের কাছে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ না করতে। তিনি বলেন, রাশিয়ার কাছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরেও আঞ্চলিক কোনো দেশ বা গোষ্ঠীর কাছে যাতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ না করতে পারে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে তা নিশ্চিত করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য এই নতুন নিষেধাজ্ঞা ঠিকমতো কার্যকর করার জন্য আইনগত কাঠামো তৈরির প্রয়োজন হবে বলে উল্লেখ করেন বোরেল।
ইরানে বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ইরান বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মূলত ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। এর সাথে কোনো দেশকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহ করার কথা মূলত একটি অজুহাত ছাড়া কিছু নয়।#
342/