তাইওয়ানকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে উৎসাহিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে চীনের অব্যাহত হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ানকে অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরালো করতেই এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
রয়টার্স বার্তা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্স টুডে জানিয়েছে, ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের এই অস্ত্র একদিকে যেমন তাইওয়ানের নিরাপত্তা বাড়বে, তেমনি অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হবে বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
আমেরিকার বিক্রি করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩০০টি অ্যান্টি-পারসনেল সুইচব্লেড ড্রোন ও অ্যান্টি-আরমার যুদ্ধাস্ত্র, ২৯১টি আলটিয়াস ৬০০এ-ভি ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র।
এদিকে, অস্ত্র বিক্রি বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও এর আগে বিলম্বের অভিযোগ তুলেছিল চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি।
উল্লেখ্য, বেইজিং তাইওয়ানকে 'এক চীন নীতি'র অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। আমেরিকা ১৯৭৯ থেকে 'এক চীন' নীতি মেনে চললেও, সম্পর্ক এগিয়ে নেয় তাইওয়ানের সঙ্গেও। তাদের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও অস্ত্রের অন্যতম বড় বাজার তাইওয়ান। এটি বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করে।
তাইওয়ানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের 'কৌশলগত দ্বিচারিতা' অব্যাহত থাকায় দ্বীপ অঞ্চলটির বিরুদ্ধে সামরিক চাপ ক্রমেই বাড়াচ্ছে চীন।#
342/