ফিলিস্তিন ও মুসলমানদের প্রথম কেবলার দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল গত ২৬ অক্টোবর ইরানের রাজধানী তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো সেগুলোর প্রায় সবগুলোই সনাক্ত করে আকাশে ধ্বংস করে দেয়। ইসরাইলি এই আগ্রাসনের পর ইরান প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালাবে বলে ইসরাইল ও তার পশ্চিমা সহযোগীদের নানা মহলে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।
ফার্স বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো গত শনিবার লিখেছে, ইসরাইলের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছে, তেলআবিব এখন তেহরানের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে যাতে এটা বোঝা যায় যে ইরান আদৌ ইসরাইলে হামলা করবে কিনা এবং করলেও তা কখন ও কোথা থেকে চালাবে।
ইসলামী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গতকাল শনিবার (চার নভেম্বর) তেহরানে এক ছাত্র সমাবেশে বলেছেন, মার্কিন সরকার ও ইহুদিবাদী ইসরাইলসহ আমাদের শত্রুরা জেনে রাখুক ইরান ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের মোকাবেলায় তারা যা করছে সুনিশ্চিতভাবে সেসবের দাঁতভাঙ্গা জবাব পাবে। -আর এই বক্তব্যের ভিত্তিতে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো মনে করছে যে ইরান এবারও ইসরাইলের কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর হামলা চালাবে।
কোনো কোনো ইসরাইলি মিডিয়া বলছে সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ইরান ইসরাইলে হামলা চালাবে। কিন্তু সিএনএন-এর বরাত দিয়ে ইসরাইলি দৈনিক মাআরিভ লিখেছে, ইরান ইসরাইলকে অত্যন্ত কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক জবাব দেয়ার পরিকল্পনা তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছে এবং সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইসরাইলে তথা অধিকৃত ফিলিস্তিনে হামলা চালাবে।
এদিকে ইরানের একটি ওয়াকিবহাল মহল বা তথ্য-অভিজ্ঞ কোনো কোনো সূত্র বলেছে, ইরানের নতুন সামরিক অভিযান 'সত্য প্রতিশ্রুতি-তিন' গুণগত ও পরিমাণগত দিক থেকে সত্য 'প্রতিশ্রুতি-দুই' শীর্ষক অভিযানের চেয়ে কমপক্ষে দ্বিগুণ বড় হবে।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত দৈনিক আলআরাবি আলজাদিদ লিখেছে, 'সত্য প্রতিশ্রুতি-তিন' হবে কয়েক মাত্রা বা দিকের সমন্বিত অভিযান যা কেবল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সীমিত থাকবে না।
ইসরাইলে এবারের হামলায় যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে সেসবের মধ্যে আগের চেয়ে বড় ধরনের বোমা ও ভারি বোমা থাকবে বলে আরবি এ দৈনিকটি দাবি করেছে। #
342/