‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Abna
রবিবার

১১ সেপ্টেম্বর ২০১১

৭:৩০:০০ PM
265250

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার সাধারণ পরিষদের পঞ্চম সম্মেলন;

হযরত্ আয়াতুল্লাহ আল উজমা মাকারেম শিরাজী’র বাণী

আজকের যুব সমাজ শত্রুদের বিষাক্ত অপপ্রচারের মুখে পড়েছে, শত্রুরা মাযহাব ভিত্তিক বিভিন্ন সন্দেহ উত্থাপন এবং নৈতিক ফ্যাসাদ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে নিজেদের টার্গেটে পরিণত করেছে।

শত্রুদের বিষাক্ত প্রচার হতে তাদেরকে পরিত্রাণ দানের জন্য সঠিকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সৌভাগ্য জনকভাবে শিয়া সংস্কৃতি এতটাই শক্তিশালী যে (শত্রুদের) সকল প্রকার কুপরিকল্পনা নিস্ক্রিয় করতে সক্ষম।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট: হযরত আয়াতুল্লাহ আল-উজমা মাকারেম শিরাজী আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার সাধারণ পরিষদের পঞ্চম সম্মেলনের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বাণীতে লিখেছেন: আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের সকল অনুসারীরা পৃথিবী’র যে স্থানে বসবাস করুক, যে ভাষায় কথা বলুক ও যে জাতির অন্তর্ভুক্ত হোক তাদের উচিত পরস্পরের হাতে হাত মিলিয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে শত্রুদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং বিশ্ববাসীকে আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের মহত্ব ও গভীরতা সম্পর্কে অবগত করা।

তিনি তার বাণীর অপর অংশে সুবিধা বঞ্চিত, এতিম ও যুবকদের জন্য বিশেষ ফাণ্ড গঠনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে বলেন: এ কাজ মহান আল্লাহর নিকট মুসলমানদেরকৃত সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজের অন্যতম এবং কেয়ামত দিবসের অন্যতম সর্বোত্তম সঞ্চয়।

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার সাধারণ পরিষদের পঞ্চম সম্মেলনে হযরত আয়াতুল্লাহ আল উজমা মাকারেম শিরাজী’র বাণীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিম্নে উল্লেখ করা হল:

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারীদের প্রতি সালাম ও দরুদ বর্ষিত হোক; যারা তাঁর (স.) কর্তৃক প্রদত্ত কুরআন ও ইতরাতকে আঁকড়ে ধরার আহবানকে গ্রহণ করেছেন এবং নিজের ধর্মীয় সকল বিষয়কে ঐশী এ দুই সূত্র হতে গ্রহণ করেছেন।

আপনাদের উপর সালাম ও দরুদ হোক! আপনারাই মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি) কর্তৃক পরিচয়কৃত পরিত্রাণের তরী তথা আহলে বাইত (আলাইহিমুস সালাম) সম্পর্কিত বাণীকে মনে প্রাণে আঁকড়ে ধরেছেন এবং বিপদপূর্ণ ও সংকটপূর্ণ এ সমুদ্রে নিজেদেরকে নিরাপদ রেখেছেন...

সুধিগণ! আমরা এমন এক পৃথিবীতে জীবন-যাপন করছি যে, বস্তুগত সকল মাযহাব ও চিন্তাধারা হতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে উঠেছে এবং সেগুলোকে অর্থহীন ও পরিণামহীন হিসেবে পেয়েছে। আর এ কারণেই অনেক দলই বিভিন্ন মাযহাবের (ধর্মের) প্রতি আসক্ত হয়েছে। আর ধর্ম সমূহের মাঝে ইসলাম ধর্মকেই যুক্তিসম্মত ও অধিক শক্তিশালী রূপে পেয়ে প্রতিদিন দলে দলে মানুষ এ ধর্ম গ্রহণ করছে।

ইসলাম ধর্মের শাখা-প্রশাখার (ফির্কাহসমূহ) মাঝে যে মাযহাবটি বুদ্ধিবৃত্তি, কুরআন ও মহানবী (স.) এর সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে তা হচ্ছে আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাব। আর এ কারণেই বর্তমান বিশ্বে শিয়া মাযহাবের বাণী শোণার জন্য অনেক কর্ণই প্রতিক্ষিত। বিশেষতঃ (বিশ্ববাসী) এ মাযহাবকে ইরানের বিপ্লবের মাধ্যমে মানবতার মুক্তি ও লেবাননে জায়নবাদী শয়তানী শক্তির তুচ্ছ ও প্রতিপন্ন হওয়ার কারণ এবং সারা বিশ্বে ঐক্য ও সংহতির প্রতি আমন্ত্রণকারী ও সহিংসতা বর্জনের প্রতি আহবান কারী হিসেবে জানে।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা! বর্তমানে আমাদের কাঁধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, যা পালনের লক্ষে চেষ্টা চালানো উচিত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১। আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের সকল অনুসারীরা পৃথিবী’র যে স্থানে বসবাস করুক, যে ভাষায় কথা বলুক ও যে জাতির অন্তর্ভুক্ত হোক তাদের উচিত পরস্পরের হাতে হাত মিলিয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে শত্রুদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং বিশ্ববাসীকে আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের মহত্ব ও গভীরতা সম্পর্কে অবগত করা।

২। আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারীদের পরস্পর সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে স্বয়ং আহলে বাইত (আ.) ইমামগণেরই নির্দেশ। তারা বলেন: তোমরা পরস্পরের সাক্ষাতে যাও, কেননা এ সাক্ষাত ও বন্ধুত্ব ও ভালবাসা তাদের (মু’মিনদের) আনন্দের কারণ স্বরূপ। এ সকল সাক্ষাত বাত্সরিক সাক্ষাতে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয় বরং বিভিন্ন সময়ে ও ধর্মীয় উপলক্ষসমূহে আঞ্জাম পাওয়া উচিত।

৩। সুবিধা বঞ্চিত, এতিম ও অভাবী ছাত্র ও অন্যান্যদেরকে সাহায্য-সহযোগিতার উদ্দেশ্যে শিয়ারা যে সকল অঞ্চলে বসবাস করে সেসকল অঞ্চলে ফান্ড গঠন করা উচিত। এছাড়া সঠিক ও ফলপ্রসু তাবলিগের (প্রচারকার্যে) কাজে সহযোগিতার জন্য ফান্ড গঠন করা উচিত, যাতে একক পরিকল্পনার আওতায় তা ব্যয় করা সম্ভব হয়। আর এটা জেনে রাখা উচিত যে, এ কাজ মহান আল্লাহর নিকট মুসলমানদেরকৃত সর্বোত্তম কর্মসমূহের অন্যতম এবং পরকালের জন্য অন্যতম সর্বোত্তম পাথেয়।

৪। আজকের যুব সমাজ শত্রুদের বিষাক্ত অপপ্রচারের মুখে পড়েছে, শত্রুরা মাযহাব ভিত্তিক বিভিন্ন সন্দেহ উত্থাপন এবং নৈতিক ফ্যাসাদ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে নিজেদের টার্গেটে পরিণত করেছে।

শত্রুদের বিষাক্ত প্রচার হতে তাদেরকে পরিত্রাণ দানের জন্য সঠিকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সৌভাগ্য জনকভাবে শিয়া সংস্কৃতি এতটাই শক্তিশালী যে (শত্রুদের) সকল প্রকার পরিকল্পনা নিস্ক্রিয় করতে সক্ষম।

উগ্র ওয়াহাবীরা অন্যান্যদের তুলনায় এ বিষয়ে বেশী সমস্যার সৃষ্টি করছে। কেননা একদিকে যেমন তারা সন্ত্রাসবাদের সমর্থক ও নিরাপরাধ মানুষ হত্যাকারী হিসেবে পরিচিত হয়ে বিশ্বে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে, অপর দিকে ইরান, ইরাক ও লেবাননে বসবাসরত আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের অনুসারীরা মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে অগ্রগামী হওয়ায় তারা তাদের মাযহাবকে হুমকির সম্মুখীন মনে করছে আর এ কারণে তারা জায়নবাদীদের সাথে হাতে হাত মিলাতে প্রস্তুত রয়েছে।

কিন্তু যেহেতু আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারীদের যুক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তাদের (ওয়াহাবীদের) ইসলাম ও কুরআন সম্পর্কে জ্ঞান-ধারণা স্বল্প তাই তারা তাদের কুউদ্দেশ্যে পৌঁছুতে পারবে না। এ পর্যন্ত তাদের অনেক গণ্যমান