‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : IRIB
বুধবার

১৫ মে ২০১৩

৬:০৯:০০ PM
419633

গাজা ফ্লোটিলায় ইসরাইলি হামলা: তদন্ত শুরু করেছে আইসিসি

অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ফ্রিডম ফ্লোটিলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাপুরুষোচিত হামলার ব্যাপারে 'প্রাথমিক অনুসন্ধান' শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি।

বার্তা সংস্থা আবনা : অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ফ্রিডম ফ্লোটিলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাপুরুষোচিত হামলার ব্যাপারে 'প্রাথমিক অনুসন্ধান' শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি। হেগভিত্তিক আদালতটি বলেছে, ২০১০ সালের ওই হামলায় যুদ্ধাপরাধ বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছিল কিনা তা খুঁজে বের করা হবে এ অনুসন্ধানের লক্ষ্য।

আইসিসি'র প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা এক বিবৃতিতে বলেছেন, "ফ্লোটিলায় হামলার ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা যায় কিনা সে লক্ষ্যে এ অনুসন্ধান চালাবে আমার দপ্তর।"

ইহুদিবাদী কমান্ডোরা ২০১০ সালের ৩১মে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক পানিসীমায় প্রথম ফ্রিডম ফ্লোটিলা জাহাজ বহরে হামলা চালায়। আন্তর্জাতিক পানিসীমায় কোনো হামলা না চালানোর যে আইন রয়েছে তা লঙ্ঘন করে চালানো ওই হামলায় নয় জন তুর্কি নাগরিক নিহত হন।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা বহরের সবচেয়ে বড় জাহাজ মাভি মারমারায় চালানো হামলায় অপর প্রায় ৫০ জন আহত হন।

মিসেস বেনসুদা বলেছেন,  তিনি এ ব্যাপারে তুর্কি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসব আইনজীবী ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ কমোরোসের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মাভি মারমারা জাহাজটি ছিল কমোরোসের মালিকানাধীন এবং দেশটি আইসিসির সদস্য।

আইসিসির আইনজীবী বেনসুদা আরো জানান, “প্রাপ্ত সব তথ্য সতর্কতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করার পর আমি একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো যা সময়মতো সবাইকে জানানো হবে।

আইসিসির কাছে জমা দেয়া তুর্কি আইনজীবীদের ১৭ পৃষ্ঠার দলিলে বলা হয়েছে, ফ্রিডম ফ্লোটিলায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে কঠোর আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া হয়েছিল।  কাজেই আন্তর্জাতিক সমাজে মনে করে, এ ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেজন্য আইসিসি জোরালো পদক্ষেপ নেবে। দলিলে বলা হয়েছে, আইসিসিকে প্রতিরোধের জন্য প্রতিকার করতে হবে।

তুরস্কের আইনজীবীদের তথ্য-প্রমাণে আরো বলা হয়েছে, ত্রাণবাহী জাহাজের বহরটি যাতে সরাসরি গাজা উপত্যকায় পৌঁছাতে না পারে সেজন্য ইহুদিবাদী সেনারা আগে থেকেই সহিংস আচরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই হামলা চালিয়েছিল। রাতের অন্ধকারে চালানো এ কপুরুষোচিত হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়ে তার বিচার করার জন্য আইনজীবীরা আইসিসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০০৭ সালে যে কঠোর অবরোধ আরোপ করে তার ফলে সেখানকার ১৫ লাখ ফিলিস্তিনির অবস্থা যখন শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন তুরস্কের মানবাধিকার কর্মীদের উদ্যোগে ওই ত্রাণবাহী জাহাজ যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ইসরাইলি সেনারা হামলা চালিয়ে ত্রাণবাহী বহরটিকে গাজায় না পাঠিয়ে ইসরাইলের উপকূলে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে পরে এসব জাহাজকে ফেরত পাঠানো হয়।