‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : IRIB
বৃহস্পতিবার

৩০ জানুয়ারী ২০১৪

৮:৩০:০০ PM
501735

ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরে খাদ্যসাহায্য পৌঁছেছে

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ইয়ারমুক শিবিরে খাদ্যসাহায্যের একটি চালান পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার ১,০২৮টি খাদ্য রেশনের চালানটি ইয়ারমুখে পৌঁছায় বলে ইরানের স্যাটেলাইন নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভি জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা আবনা : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ইয়ারমুক শিবিরে খাদ্যসাহায্যের একটি চালান পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার ১,০২৮টি খাদ্য রেশনের চালানটি ইয়ারমুখে পৌঁছায় বলে ইরানের স্যাটেলাইন নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভি জানিয়েছে।

এর আগে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, শরণার্থী শিবিরটির ফিলিস্তিনি নাগরিকরা ক্ষুধার তাড়নায় কুকুর-বিড়ালের মাংস খেতে বাধ্য হচ্ছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ’র মুখপাত্র ক্রিস গানেস জানিয়েছেন, ইয়ারমুখে খাদ্যের চালানটি পৌঁছার পরপর খাবারের জন্য অভুক্ত মানুষগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি বেধে যায়। গত ২১ জানুয়ারির পর এই প্রথম সেখানে কোনো খাবার পৌঁছাল। তিনি জানান, প্রতিটি পরিবারকে রেশনের একটি করে প্যাকেট দেয়া হয়েছে। আটজনের একটি পরিবার এই রেশন দিয়ে ১০ দিন পর্যন্ত চলতে পারবে বলে তিনি জানান।

গানেস বলেন, সিরিয়ার যুদ্ধরত পক্ষগুলোর সহযোগিতা নিয়ে তারা ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরে পৌঁছেছেন। তবে যতটা খাদ্যসাহায্য প্রয়োজন তার তুলনায় কম খাদ্য নিয়ে আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৮,০০০ ফিলিস্তিনিসহ বহু মানুষের খাদ্যসাহায্য প্রয়োজন। এদের মধ্যে একটি বড় সংখ্যা নারী ও শিশু।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গত ১৪ জানুয়ারি জানায়, সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সন্ত্রাসীরা ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরে খাদ্যসাহায্য পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। গত কয়েকমাসে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় চিকিত্সার অভাবে সেখানে বহু মানুষ মারা গেছে। সিরিয়ায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছেন যাদের একটি বড় অংশ দামেস্কের ইয়ারমুক শিবিরে বসবাস করছেন। ২০১১ সালে সিরিয়ায় সহিংসতা শুরু হলে সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয় এই শিবির।