আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর একটি দল –যারা দেশটিতে ইয়াকি নামে পরিচিত- গত সোমবার (৩০শে মার্চ) দেশটির কাদুনা প্রদেশে অবস্থিত ‘ইসলামি মুভমেন্টে’র কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। রক্তক্ষয়ী এ হামলায় আহলে বাইত (আ.) এর ১ অনুসারী শহীদ এবং অপর ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ইসলামি মুভমেন্টে’র সদস্য উস্তাদ মুখতার শাহাবি এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, কোন কারণ ছাড়াই সৈন্যরা ঐ কেন্দ্রে হামলা করেছে। তাদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে এক জন নিহত এবং অপর ৪ জন আহত হয়েছে। অতর্কিত এ হামলায় আমি আশ্চর্য হয়েছি। কারণ এ হামলার শিকার নাইজেরিয়ার ইসলামি মুভমেন্ট, সুবিধা বঞ্চিত বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণে মানবিক সাহায্য দিয়ে থাকে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, সোমবার বিকেল ৪:৪৫ মিনিটের দিকে নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা একটি হাইলাক্স ভ্যানে করে ঐ কেন্দ্রে প্রবেশ করলে কেন্দ্রের এক সদস্যের প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়। ইসলামি মুভমেন্টের কার্যালয়টি কাদুনা প্রদেশের আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। গাড়ী নিয়ে এ এলাকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
অবৈধভাবে প্রবেশের প্রতিবাদ জানালে ইসলামি মুভমেন্টের ঐ সদস্যকে আটক করে সৈন্যরা। এরপর এলোপাতাড়ীভাবে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় সৈন্যদের গুলিতে আহলে বাইত (আ.) এর ৫ অনুসারী হতাহত হয়।
এদিকে, ইসলামি মুভমেন্টের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে কাদুনা পুলিশের জনৈক কর্মকর্তা। নাইজেরিয়ার ইসলামি মুভমেন্টের নেতা ‘শাইখ ইব্রাহিম যাকযাকি’ সেনাবাহিনীর হামলায় তার ৩ পুত্রের শাহাদাতের পর বিগত মাসগুলোতে কয়েক দফায় তার এবং যারিয়া অঞ্চলের শিয়াদের উপর হামলার বিষয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গতবছর যারিয়া শহরে বিশ্ব কুদস দিবসের র্যালীতে নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর চালানো গুলিতে শাইখ ইব্রাহিম যাকযাকির ৩ পুত্র ; ‘আহমাদ যাকযাকি’, ‘হামিদ যাকযাকি’ ও ‘মাহমুদ যাকযাকি’সহ ৩৩ জন আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারী শহীদ হন।#