‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Jugantor
রবিবার

২৮ জুন ২০১৫

৫:২৪:৫৭ AM
697732

তিউনিসিয়ায় আইএসআইএলের হামলা, কেন?

২০১১ সালে আরব বসন্তের মধ্য দিয়ে সেই প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে তিউনিসিয়ার ২৪ বছরে স্বৈরশাসক জিনে আল আবেদিন বেন আলীর পতন ঘটেছিল। পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে পালিয়ে বেঁচেছিলেন বেন আলী।

আবনা ডেস্ক : আরব বিশ্বের অন্যতম প্রবীণ সেক্যুলার রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত তিউনিসিয়া দ্বিতীয়বারের মতো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হল। গত মার্চে দেশটির বারদো জাদুঘরে হামলা করে ২২ জন বিদেশী পর্যটককে হত্যার ঘটনা ছিল তিউনিসিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী ঘটনা। এবার ৩৯ জন নিহতের পর দেশটি আরও গভীর সংকটে পড়ল। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় সন্দেহ করা হচ্ছে ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠন কিংবা আইএসআইএলকে। তিউনিসিয়া সরকারের গোয়েন্দা তথ্য সরবারহকারী সুফান গ্রুপ বলছে, দেশটির প্রায় ৩ হাজার সিরিয়া যুদ্ধে যোগ দিয়েছে। যা অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে কিছু সেখানে নিহত হয়েছে, আর কিছু দেশে ফিরে এসেছে। এছাড়া একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা পার্শ্ববর্তী লিবিয়ার মিলিশিয়া ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সচিবের তথ্য অনুযায়ী, বারদো জাদুঘরে হামলাকারী দুই বন্দুকধারী লিবিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
সাম্প্রতিক এসব রক্তক্ষয়ী হামলা তিউনিসিয়ার দীর্ঘদিনের সেক্যুলার নির্যাতনের প্রতিশোধ। ২০১১ সালে আরব বসন্তের মধ্য দিয়ে সেই প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে তিউনিসিয়ার ২৪ বছরে স্বৈরশাসক জিনে আল আবেদিন বেন আলীর পতন ঘটেছিল। পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে পালিয়ে বেঁচেছিলেন বেন আলী।
বেন আলীর সেক্যুলার সরকার জনগণকে অতিমাত্রায় আবদমন করে রেখেছিল। জনগণের এক-পঞ্চমাংশই ছিল সেনাবাহিনী। সেবাবাহিনী দিয়ে ইসলামপন্থীদের চরম নির্যাতন করা হতো। নারীদের বোরকার পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১১ সালের অক্টোবরে মডারেট ইসলামী পার্টি ক্ষমতায় এসে ধর্মীয় স্বাধীনতার অনুমোদন দেয়। সম্প্রতি আবার সেক্যুলার পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। জঙ্গি তৎপরতায় তিউনিসিয়দের জড়িত হওয়ার কারণ বিশালসংখ্যক তরুণ সমাজের বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সমস্যা, দেশটির ৪০ শতাংশ জনগণের বয়স ২৪ এর নিচে।#