‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার

২৮ নভেম্বর ২০১৫

১২:৩৭:৪৫ AM
721870

আযারবাইজানে মসজিদে পুলিশের সশস্ত্র হামলা ; বহু লোক হতাহত

আযারবাইজান পুলিশের স্পেশাল গার্ড বাহিনী গত বৃহস্পতিবার যোহরের নামাযের সময় একটি শিয়া মসজিদে হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় বহু মুসল্লি হতাহত হয়েছে।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা- : আযারবাইজান পুলিশের স্পেশাল গার্ড বাহিনী গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) নারদারান এলাকায় ‘হযরত বিবি রাহিমা (সা. আ.)-এর মাজারের পাশে অবস্থিত মসজিদে হামলা ও গুলি চালিয়েছে। সশস্ত্র এ হামলায় আব্বাস হুসাইনসহ দুই ব্যক্তি শহীদ এবং বহু লোক গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় সরকারী বাহিনী অন্তত ২০ জনকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ মসজিদের পেশ ইমাম ও আযারবাইজানের বিশিষ্ট আলেম হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ‘তালে বাকেরোভে’র অবস্থা সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আবনাকে জানিয়েছে, পুলিশের স্পেশাল বাহিনী সিটি কর্পোরেশনের গাড়ী ও আসবাব পত্রবহনকারী গাড়ীতে করে ঐ এলাকায় প্রবেশ করে আর এ কারণেই শিয়ারা তাদের উপস্থিতি বুঝতে পারেনি। তা না হলে তাদের হামলার উপযুক্ত জবাব প্রদান করা হত।

তিনি বলেন : ঐ বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে ব্যাটন নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। অতঃপর তারা গুলি চালায়। এ সময় তারা পেশ ইমাম আলহাজ্ব তালে বাকেরোভকে আটক করতে চাইলে মুসল্লিরা বাধা দেয়। হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়ে বলে জানা গেছে।

এদিকে, রাজধানী বাকু’র খারদালান এলাকায় অবস্থিত আযারবাইজানের বিশিষ্ট শিয়া ব্যক্তিত্ব ও আলেম হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ‘যুলফিকার মিকাইলযাদেহ’র বাড়িতেও হামলা চালিয়ে পুলিশ। এ সময় তাকে বিনা কারণে মারধর করে আটক করা হয়েছে। অথচ হুজ্জাতুল ইসলাম মিকাইলযাদেহ নারদারান এলাকার ঐ শিয়া মসজিদে সংঘর্ষের সাথে জড়িত ছিলেন না।

আযারবাইজান থেকে আবনা প্রতিনিধি জানিয়েছে, বিশিষ্ট এ শিয়া ব্যক্তিত্বের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশী চালানো হয় এবং এ সময় পুলিশ তার কম্পিউটারসহ বাড়ির বিভিন্ন আসবাব পত্র ভাংচুর করে।#

শহীদ আব্বাস হুসাইন