‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
শুক্রবার

১৫ এপ্রিল ২০১৬

৮:৫০:৩৪ AM
747427

কিউবায় ইসলাম ধর্মের প্রসারের উপর সিএনএনে’র রিপোর্ট

সিএনএনে’র জনৈক জার্নালিস্ট তার কিউবা সফরে মুসলমানদের বিভিন্ন ছবি তোলার পাশাপাশি তৈরি করেছেন এক প্রতিবেদন। যাতে কিউবায় ‘ইসলাম’ ধর্ম প্রসারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: সিএনএন নিউজ চ্যানেলের জার্নালিস্ট তার কিউবা সফরে এদেশে মুসলমান থাকার কথা শুনে কৌতুহলী হন। তিনি তার কিউবা সফরে এদেশের মুসলমানদের বিভিন্ন ছবি তোলার পাশাপাশি লিখেছেন এক প্রতিবেদন।

জন আলওয়াদো’র ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কিউবাতে ইসলাম ও মুসলমানদের উপস্থিতির বিষয়টি জানার পর এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমি কৌতুহলী হই এবং এর উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে আমি হাভানায় পৌঁছাই।

তিনি কিউবায় লক্ষণীয় হারে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করার সাথে সাথে মুসলমানদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি এ প্রতিবেদনে।

হাভানার মুসলমানদের সাথে কথা বলে তিনি এ বিষয়টি জানতে পারেন যে, কিউবান মুসলমানরা ইসলাম ধর্মের বিধি-বিধান ও ইসলামি আকিদা সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নয় এবং আলেম ও মুবাল্লিগের অনুপস্থিতির পাশাপাশি ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত স্থানও নেই তাদের।

এরপর সিএনএনে’র ঐ জার্নালিস্ট কিভাবে ইসলাম প্রসার লাভ করছে সে কথা উল্লেখ করেছেন এভাবে; পড়াশুনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিম ছাত্রদের আগমনের -বিশেষ করে পাকিস্তানি ছাত্রদের আগমনের- কারণে দ্রুত ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটছে।

কিউবাতে অবস্থিত মধ্যপ্রাচ্যের কিছু কিছু দেশের দূতাবাসের তৎপরতা হচ্ছে এর নেপথ্যে দ্বিতীয় কারণ। কিউবান মুসলমানরা ঐ সকল দূতাবাস যেয়ে ইসলামি বিধি-বিধান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।

কিউবান মুসলমান ‘আহমাদ আগেরো’ আলওয়াদোকে জানান: কিউবান মুসলমানরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। যেমন ইবাদত ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য তাদের কোন স্থান নেই। তারা প্রতিদিনের নামাযের জন্য পরস্পরের বাড়িতে সমবেত হয়।

এছাড়া শাশ্বত ইসলাম ধর্মের যুক্তিপূর্ণ বিধি-বিধান –যেমন: মদপান করা হারাম- তাদের ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ বলে করেন।

পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী কিউবার মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮৫ ভাগ ক্যাথোলিক খ্রিষ্টান এবং দেশটির মোট জনসংখ্যার শতকরা এক ভাগ হচ্ছে মুসলমান -অর্থাৎ প্রায় ১০০০০ হাজার-।

আলওয়াদো’র তোলা ছবিগুলো থেকে এ বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে যে, কিউবান মুসলমানদের বড় একটি অংশ আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের অনুসারী। কেননা তারা নামাযের সময় মাটিতে (সিজদাগাতে) সিজদা করে থাকে। অথচ অন্য মাযহাবের অনুসারীরা মাটিতে সিজদা করাকে জরুরি মনে করেন না।#