আবনা ডেস্ক : এক সময়ে দায়েশ (আইএসআইএল) নিয়ন্ত্রিত ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ দূত জান কুবিস। শনিবার সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদকে তিনি এ তথ্য জানান।
গণকবরগুলোকে জঙ্গি গোষ্ঠি ‘দায়েশের জঘন্য কর্মকাণ্ডের প্রমাণ’ বলে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে উল্লেখ করেন জান কুবিস। সম্প্রতি জঙ্গি ওই সংগঠনটির কাছ থেকে ইরাকের কয়েকটি অঞ্চল পুনরুদ্ধারের পর গণকবরগুলোর সন্ধান মেলে।
সর্বশেষগুলোর মধ্যে গত এপ্রিলে দেশটির রামাদিতে যে গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায় তাতে অন্তত ৪০টি মৃতদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কুবিস বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের উচিৎ এর জন্য ব্যবস্থা নেয়া।
গত বছরের ডিসেম্বরে দায়েশের হাত থেকে রামাদির একাংশ নিয়ন্ত্রণে নেয় ইরাকি বাহিনী। ২০১৫ সালের মে মাস থেকে শহরটি জঙ্গিদের দখলে ছিল। এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরটি দখলে রাখার চেষ্টা চালায় দায়েশ। শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার প্রতিরোধ চালিয়ে যায় দায়েশ যোদ্ধারা।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী তাদের প্রতিরোধ ভেঙে ওই এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারের পর শহরটির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। রামাদি ছাড়াও একসময় দায়েশের দখলে থাকা উত্তর ইরাকের সিনজার ও তিকরিতের কাছে এবং পশ্চিম ইরাকের আনবারের কাছেও বিভিন্ন গণকবরে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
দায়েশের জঙ্গিরা যাদের হত্যা করে এসব গণকবরে কবর দিয়েছে তাদের মধ্যে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য, ইরাকি সেনা, নারী ও সংখ্যালঘু ইজাদি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। এছাড়া সিরিয়ার যেসব এলাকা দায়েশের দখলমুক্ত হয়েছে সেসব এলাকাতেও গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে।#
সূত্র : banglamail24
শনিবার
৭ মে ২০১৬
১২:২৪:১৮ PM
752624
এক সময়ে দায়েশ (আইএসআইএল) নিয়ন্ত্রিত ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ দূত জান কুবিস।