‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
রবিবার

২৮ আগস্ট ২০১৬

১২:০৫:৪০ AM
774897

দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দারাইয়া অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা এবং তাকফিরি সন্ত্রাসীদের ধাওয়ার পর অবশেষে সন্ত্রাসীদেরকে ঘেরাও করে আত্মসমার্পনে বাধ্য করেছে সিরিয় সেনাবাহিনী।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: সিরিয় সেনাবাহিনী ও দেশটির গণবাহিনী দারিয়া অঞ্চলে পৌঁছে হযরত সাকিনা (সা. আ.) এর মাজারকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্ত করেছে। দামেস্কের ৮ কিলোমিটার দক্ষিনে দারাইয়া অঞ্চলে অবস্থিত এ মাজারটি দীর্ঘ ১৫ মাস যাবত তাকফিরি সন্ত্রাসীদের দখলে ছিল। এ সময় তারা মাজারটিকে পরিপূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়।

কৌশলগত দারাইয়া অঞ্চলকে মুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে স্বয়ং সিরিয় সেনাবাহিনী’র মুখপাত্র।

সিরিয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ‘ইউসুফ যাইদান’ দামেস্কে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন: দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দারাইয়া অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা এবং তাকফিরি সন্ত্রাসীদের ধাওয়ার পর অবশেষে সন্ত্রাসীদেরকে ঘেরাও করে আত্মসমার্পনে বাধ্য করেছে সিরিয় সেনাবাহিনী।

দু’পক্ষের মাঝে সমঝোতার ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা দারাইয়া শহর ত্যাগের আগে তাদের কাছে থাকা ভারী ও আধা ভারী অস্ত্র জমা দেয়। এর আগে নারী ও শিশুসহ বেসামরিকদের লোকদেরকেকে সিরিয়ার সরকারি অস্থায়ী ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়।

তিনি বলেন: আত্মসমার্পন না করা অবশিষ্ট ৭০০ সশস্ত্র ব্যক্তি সরকারি বাহিনী’র সাথে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ দলটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব শহরের দিকে যাবে; যে শহরটি তাকফিরি সন্ত্রাসী গ্রুপ জাইশুল ফাতহে’র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

দারাইয়া অঞ্চলটি দামেস্কের কাছাকাছি হওয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। সিরিয়ার যে সকল অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীরা প্রথমে সন্ত্রাসী অভিযান শুরু করেছিল দারাইয়া সেগুলোর অন্যতম।

এছাড়া দারাইয়া শহরে রয়েছে হযরত সাকিনা (সা. আ.) এর মাজার। এলাকাটি ‘আল-মেজ্জে’ এলাকার সামরিক বিমান বন্দরের একেবারে গা ঘেঁসে অবস্থিত এবং এলাকাটি পূর্ব গাওতা ও পশ্চিম গাওতাকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের আত্মসমার্পন অপর এলাকাগুলোতে যুদ্ধরত সন্ত্রাসীদের মনোবলকে দূর্বল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সিরিয়ান এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছে, সিরিয় বাহিনীর বিজয় নিশ্চিত। ঘেরাওয়ের পরিধি সংকীর্ণ হওয়ার ফলে আত্মসমার্পন করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোন উপায় ছিল না।#