‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Shabestan
মঙ্গলবার

৭ নভেম্বর ২০১৭

১১:৫৪:০৬ PM
865369

ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতি মানবজাতির ভালবাসার দর্শন

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: হুসাইন আমা থেকে ও আমি হুসাইন থেকে। বিশ্বনবী (সা.) আরো বলেছেন, তাঁকে মহান আল্লাহ ওহির মাধ্যমে জানিয়েছেন যে শাহাদতের মাধ্যমে হুসাইন (আ.) এমন এক মর্যাদা পাবেন যে তার কাছাকাছি যাওয়া অন্য কারো জন্য সম্ভব হবে না।

আবনা ডেস্কঃ বিভিন্ন যুগে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিখ্যাত মনীষী, নেতা এবং নানা ধর্ম ও মতের অনুসারী খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা কারবালার কালজয়ী বিপ্লবের মহানায়ক ইমাম হুসাইন (আ.) ও আশুরা বিপ্লব সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ মতামত ব্যক্ত করেছেন।
হযরত আদম (আ.), ইব্রাহিম (আ.), ঈসমাইল (আ.), মুসা (আ), জাকারিয়া (আ.) ও দাউদ (আ.)সহ অতীতের সকল বড় নবী-রাসূলের কাছে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাবলী তুলে ধরা হয়েছিল এবং তাঁরা ভবিষ্যতের ওই ঘটনা শুনে কেঁদেছিলেন বলে ইসলামী বর্ণনা রয়েছে।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: হুসাইন আমা থেকে ও আমি হুসাইন থেকে। বিশ্বনবী (সা.) আরো বলেছেন, তাঁকে মহান আল্লাহ ওহির মাধ্যমে জানিয়েছেন যে শাহাদতের মাধ্যমে হুসাইন (আ.) এমন এক মর্যাদা পাবেন যে তার কাছাকাছি যাওয়া অন্য কারো জন্য সম্ভব হবে না। মহানবী (সা.) আরো বলেছেন, নিশ্চয়ই প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে হুসাইনের (আ.) শাহাদতের ব্যাপারে এমন ভালবাসা আছে যে, তার উত্তাপ কখনও প্রশমিত হবে না। যারা হুসাইনের জন্য কাঁদবে তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদও দিয়ে গেছেন বিশ্বনবী (সা.)।
ইমাম শাফেয়ীর (র.) শোকের কবিতা: আমার বেদনার প্রতিক্রিয়ায় হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে গেল এবং আমার নিদ্রা হরণ করে নিল, এরপর নিদ্রা যে কতদূর?…. কে আমার বাণীকে হুসাইনের কাছে পৌঁছে দেবে?… আলে মুহাম্মদের (মুহাম্মদের বংশধরদের) জন্য দুনিয়া প্রকম্পিত হবে, যেহেতু অচিরেই তাঁদের (বেদনার) কারণে পাহাড়গুলো বিগলিত হবে… মুহাম্মদের বংশধরদের জন্য ভালবাসা যদি গুনাহ হয়ে থাকে তবে এ হচ্ছে সেই গোনাহ যা থেকে আমি কখনও তওবাহ করব না। কিয়ামতের দিন তারাই আমার শাফায়াতকারী যেদিন আমার গোনাহর পরিমাণ হবে অনেক বেশি; সেদিন তাঁরাই হবেন আমার সাহায্যকারী।
ইমাম হুসাইন (আ.)'র শাহাদাতের চল্লিশা বার্ষিকীকে সামনে রেখে ইরাকের কারবালায় এ বছরও হাজির হয়েছেন বিশ্বের বহু প্রান্ত থেকে মুসলমানরা। রাসূলের (সা.) প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইনের (আ.) আরবাইন উপলক্ষে ইরাকের পবিত্র কারবালা শহর অভিমুখে প্রতি বছর কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পদযাত্রা সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মুসলমানদের শক্তি ও ঈমানের এক নজিরবিহীন মহড়াতে পরিণত হয়।
প্রতিবছরই ইমাম হুসাইন (আ.)'র শাহাদাতের আরবাইন বার্ষিকীতে তাঁর পবিত্র মাজার ও এর আশেপাশের এলাকায় সমবেত হন কোটি কোটি জিয়ারতকারী। তারা ইরাকে পৌঁছে প্রথমে নাজাফে মাওলা আলী (আ.)'র মাজার জিয়ারাত করেন। সেখান থেকে দুই দিন পায়ে হেঁটে পৌঁছান পবিত্র কারবালায়।
আগামী শুক্রবার ইরাকে ইমাম হুসাইন (আ.)'র শাহাদাতের চল্লিশা বার্ষিকী পালিত হবে। গত বছর এদিনে ইরাকে সমবেত হয়েছিলেন প্রায় তিন কোটি মুসলমান।