পার্সটুডে জানিয়েছে: আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যম গত সপ্তায় এক প্রতিবেদনে লিখেছে: ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিষয়টি যখন বিশ্বের শিরোনাম হয়ে উঠেছে, তখন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেট ফিলিপাইন এবং জাপান ভ্রমণ করেন। ভ্রমণে গিয়েই প্রথমে তিনি হাওয়াইতে ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের সদর দপ্তর এবং গুয়ামের অ্যান্ডারসন বিমান ঘাঁটিতে কৌশলগত বোমারু বিমান সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন।
হিলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, হেগসেট প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার মিত্রদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন যে ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপের ঘটনাবলীতে কম আগ্রহ দেখালেও, চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার এবং আমেরিকার আঞ্চলিক নিরাপত্তা অংশীদারদের সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি এখনও ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা নীতির একটি কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে রয়ে গেছে।
ট্রাম্প একজন অবিশ্বস্ত বন্ধুর প্রতীক, তবুও ম্যানিলা এবং টোকিওর প্রতি প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ঘটনা এমন একটি লক্ষণ যা ১৯৫১ সালে ফিলিপাইন এবং ১৯৬০ সালে জাপানের সাথে আমেরিকার স্বাক্ষরিত পারস্পরিক নিরাপত্তা চুক্তিগুলোকে আরও শক্তিশালী করে। আঞ্চলিক নিরাপত্তায় মূল খেলোয়াড় হিসেবে জাপানের পুনরুত্থানকে আমেরিকা স্বাগত জানিয়েছে।
তবু জাপান ট্রাম্পের ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের শিকার হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেছেন: আমরা খুবই হতাশ এবং দুঃখিত যে এ ধরনের শুল্ক ব্যবস্থা আমাদের ওপর বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বর্তমানে শুল্ক বাস্তবায়ন ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন বিশেষ করে ওয়াশিংটন যেসব দেশের সাথে আলোচনা করতে ইচ্ছুক সেসব দেশের জন্য।
তুলনামূলকভাবে, ফিলিপাইনের সাথে উদার আচরণ করা হয়েছে। তাদের ওপর মাত্র ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আমেরিকা আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মিত্রের ওপর কঠোর শাস্তি আরোপ করেছে। একটা হলো তাইওয়ান, তাদের ওপর ৩২ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর) শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্প মূলত কুখ্যাত 'উন্মাদ তত্ত্ব'-এর সুবিধাগুলোকে কাজে লাগাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে- যে তত্ত্বের গ্রহণযোগ্যতা প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে গেছে। এখন মিত্ররা কীভাবে তার পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানাবে তা আগাম বলা কঠিন।#
342/
Your Comment