৩১ মে ২০২৫ - ১৯:১২
Source: Parstoday
ইরান, মধ্য এশিয় বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার; চবাহার থেকে ইউরেশিয়া

পার্সটুডে - চবাহার বন্দরের কৌশলগত অবস্থান এবং এর বিস্তৃত পরিবহন নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করে, ইরান মধ্য এশীয় দেশগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং রাজনীতি বিষয়ক ওয়েব সাইট দ্যা ডিপ্লোম্যাট, একটি নিবন্ধে লিখেছে: প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মধ্য এশিয়ায় তার নীতিঅবস্থান জোরদার করছে। পার্সটুডে জানিয়েছে, ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে: "ভারত মহাসাগরে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর সাথে ইরানের বিস্তৃত সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক, মধ্যএশিয়ার স্থলবেষ্টিত প্রজাতন্ত্রগুলির সাথে সহযোগিতার বিরাট সুযোগ  এনে দিয়ছে।"

প্রতিবেদনে আরো এসেছে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্পর্ক এবং সরবরাহ ও পরিবহন অবকাঠামো জোরদার করা ইরানের মূল লক্ষ্য যা ইরানের "পূর্ব মুখী নীতির" অংশ।

মধ্য এশিয়ার দেশগুলোও বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলো সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য সহজ রুট খুঁজছে। সে কারণে ইরান বিশ্বের এই দুই বৃহৎ অঞ্চলের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে তাদের জন্য মূল্যবান আঞ্চলিক অংশীদার হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, প্রকৌশল, জ্বালানি, কৃষি, রাসায়নিক শিল্প এবং ওষুধের ক্ষেত্রে ইরানের প্রযুক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা রয়েছে।  একই সাথে রয়েছে যৌথ উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগের পরিবেশ। তাই দক্ষিণ ইরানের চবাহার বন্দর মধ্য এশিয়ার স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য ভারত মহাসাগরে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বারে পরিণত হয়েছে।

ইরানের বিস্তৃত সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক দেশটির দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্ব বাজারের সাথে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম করেছে। চীন-কাজাখস্তান-উজবেকিস্তান-তুর্কমেনিস্তান-ইরান-তুরস্কের মতো রেল করিডোর এবং বহুমুখী পরিবহন রুট ইরানকে পূর্ব ও পশ্চিমের সাথে সংযোগকারী একটি ইউরেশিয়ান স্থল সেতুতে রূপান্তরিত করেছে।

২০২৩ সালে, ইরান "চবাহার চুক্তি"-তে যোগদানের জন্য তাসখন্দের অনুরোধে সম্মত হয়। উজবেকিস্তান বন্দরে গুদাম এবং টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। কাজাখস্তান এবং তাজিকিস্তানও একই ধরণের পরিকল্পনার কথা বিবেচনা করছে।

ইরানের সড়ক ও বন্দর অবকাঠামোর মাধ্যমে মধ্য এশিয়া থেকে ভারতে পরিবহন করিডোর চালু করার জন্যও আলোচনা চলছে, যা মধ্য এশিয়ার দেশগুলির ভূ-অর্থনৈতিক স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এই অঞ্চলের সাথে ইরানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বর্তমানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারে উন্নিত হয়েছে। ২০২৫ সালের মে মাসে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (EAEU) সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে শুল্ক হ্রাস পেয়েছে যা ইরানের বাণিজ্যের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।

এছাড়াও, ভারতীয় বন্দর থেকে ইরানের বন্দর আব্বাস এবং চবাহার হয়ে উজবেকিস্তান এবং কাজাখস্তানে কন্টেইনার পরিবহন এবং ইরানের শহীদ রাজাই বন্দরে একটি বিশেষায়িত টার্মিনাল নির্মাণে কাজাখস্তানের পরিকল্পনা, আঞ্চলিক পরিবহনে ইরানের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরে। #

Your Comment

You are replying to: .
captcha