তিনি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ইরানের মহাকাশ কেন্দ্রিক তৎপরতার বেশির ভাগেরই প্রভাব রয়েছে বাস্তব জীবনে
পার্সটুডের তথ্য বলছে, ইয়াজদানিয়ান আরও জানিয়েছেন, "ইরানের সমস্ত মহাকাশ পণ্য দেশীয় গবেষকদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।"
তিনি ইরানের মহাকাশ শিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সম্পর্কে বলেন, "পরিমাপ, নেভিগেশন এবং যোগাযোগ উপগ্রহ যে ডেটা দেয় যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রথম স্তর এবং ইরানের এই ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।"
৯০ শতাংশ স্যাটেলাইট সরঞ্জাম ইরানের ভেতরে তৈরি হয়
ইরানি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আরও বলেন, "৯০ শতাংশেরও বেশি স্যাটেলাইট সরঞ্জাম এবং স্যাটেলাইট সাব সিস্টেম ইরানের অভ্যন্তরে তৈরি হয় এবং বাকি ১০ শতাংশ সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনা হয়। এই আমদানির অর্থ এই নয় যে, আমাদের এ সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত জ্ঞান নেই বরং এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি জ্ঞানটি দেশেই রয়েছে। আমরা বিদেশ থেকে যা আমদানি করি তা আমাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজে লাগানো হয়।"
মহাকাশ কূটনীতির বিকাশ
ইয়াজদানিয়ান জোর দিয়ে বলেন, মহাকাশের ক্ষেত্রে ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে। তিনি আরও বলেন, "মহাকাশ কূটনীতি বিকাশের মাধ্যমে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে প্রযুক্তি এবং এ সংক্রান্ত জ্ঞান হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।এর অর্থ হলো, আমরা উপগ্রহ নির্মাণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত। কাজেই ইরানের মহাকাশ কার্যক্রম শান্তির লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে এবং এই অঞ্চলের দেশগুলোর কল্যাণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তা নিবেদিত।
সস্তায় ইরানি স্যাটেলাইটের পরিসেবা
ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান জোর দিয়ে বলেন, খৈয়ামসহ এই কমপ্লেক্সের উপগ্রহের পরিসেবা ব্যবহারের খরচ খুবই কম। তিনি আরও বলেন, খৈয়াম উপগ্রহের ছবির দাম প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় দুই ডলার, যেখানে বিদেশী উপগ্রহের ক্ষেত্রে এই দাম প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০ ডলার।#
342/
Your Comment