আমিরুল মুমিনীন (আ.) বলেন: «أَقْوَى النَّاسِ إِیمَاناً أَكْثَرُهُمْ تَوَكُّلًا عَلَى اللَّهِ»؛ এর অর্থ হল, বিশ্বাসের দিক থেকে তারাই সবচেয়ে শক্তিশালী যারা অন্যদের তুলনায় আল্লাহর উপর বেশি নির্ভর করে। যার উপর বেশি আস্থা আছে, এটা তার আল্লাহকে আরও ভালোভাবে চেনার লক্ষণ এবং তার বিশ্বাস আরও পূর্ণ। বিশ্বাসের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস বিবেচনা করা যেতে পারে, যার প্রথম তিনটি স্তর নিম্নরূপ:
১. বাধা দূর করা এবং অপসারণের উপর আস্থা রাখুন
বিশ্বাসের দুর্বল স্তর এই জ্ঞান থেকে উদ্ভূত হয় যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ এই পৃথিবীতে উপায়-উপকরণ প্রদান করেছেন এবং আমাদের চিন্তাভাবনা ও কর্মের মতো ক্ষমতাও দিয়েছেন, কিন্তু এটি এই ক্ষমতাগুলির কার্যকারিতা কেড়ে নিতে পারে। এই বিশ্বাসের অর্থ হল যখন আমরা আশীর্বাদ ব্যবহার করি, তখন আমাদের সচেতন থাকা উচিত যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের তা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন। অন্য কথায়, আমাদের বাধা দূর করার এবং প্রতিহত করার জন্য আল্লাহর উপর নির্ভর করা উচিত।
২. মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরের জিনিসের উপর নির্ভর করা
মানুষের প্রতিটি আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য অনেক শর্তের প্রয়োজন, যার অনেকগুলিই তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, এই ধারণার মধ্যে একটি উচ্চ স্তরের আস্থা নিহিত। অতএব, মানুষ তার আকাঙ্ক্ষা অর্জনের জন্য তার নিষ্পত্তির উপায় ব্যবহার করে, কিন্তু তার জ্ঞান বা ক্ষমতার বাইরের পরিস্থিতিতে সে আল্লাহর উপর নির্ভর করে। অন্য কথায়, এই স্তরের আস্থা এমন অবস্থার বিধানের উপর যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
৩. চলমান ঘটনার শৃঙ্খলের উপর নির্ভর করা
মহাবিশ্বের কারণ এবং প্রভাবগুলিকে একটি শৃঙ্খলের সংযোগ হিসেবে কল্পনা করা যেতে পারে, যার পরিণতি আল্লাহর হাতে, এবং তিনি এই শৃঙ্খলে কারণ শৃঙ্খলের চালক হিসেবে কার্যকর। এমনভাবে যে, যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহর শৃঙ্খলের প্রথম লিঙ্কটি না সরাবেন, তাহলে বাকি লিঙ্কগুলিও নড়বে না; অতএব, আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, যিনি এই ধারাবাহিকটি গতিশীল করবেন এবং কার্যকর করবেন। এই পর্যায়ে, মানুষ বুঝতে পারে যে তার হাতে থাকা সমস্ত সরঞ্জামও একটি শৃঙ্খলের লিঙ্ক যার শুরু আল্লাহর শক্তির হাতে। অবশ্যই, আস্থার উচ্চ স্তরও রয়েছে।
Your Comment