পূর্ব নয়, পশ্চিমও নয়; জাতিগুলোর আত্মনির্ভরশীলতা এবং স্বাধীনতার জন্য ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর রোডম্যাপ

প্রতিরোধ চালানো এবং দাম্ভিক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর নির্দেশনা তার আদর্শগুলোর মধ্যে অন্যতম। মরহুম ইমাম (রহ.)-এর এই কৌশলের প্রভাব ফিলিস্তিন ইস্যুতে স্পষ্ট। তিনি বায়তুল মোকাদ্দাস মুক্তির বিষয়টিকে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উত্থাপন করেছিলেন এবং জনগণের হৃদয়ে প্রতিরোধ শক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর, ইমাম খোমেইনী (রহ.) প্রতিরোধের বিষয়টির উপর যে গুরুত্বারোপ করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইরত দলগুলোর মধ্যে আশার আলো দেখা দেয় এবং তারা মহান বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়। সাধারণভাবে, প্রতিরোধ হল দাম্ভিক শক্তির নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, যা বিজয়ের দিকে পরিচালিত করে; শত্রুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ফলে তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয় এবং শত্রুকে পিছু হটানো যায়।

যদি আজ গাজা, ইয়েমেন এবং লেবাননের প্রতিরোধ ফ্রন্টের যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াত, তাহলে আমরা অবশ্যই এই শিশু-হত্যাকারী ইসরাইলের আরও বেশী অপরাধযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করতাম, তাই ইসরাইলের মতো এই ক্যান্সার নিরাময় কেবল প্রতিরোধ এবং তাদের ধ্বংসের মধ্যে নিহিত, যা ইনশাআল্লাহ, আমরা শীঘ্রই প্রত্যক্ষ করব।

দাম্ভিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রতিরোধ শক্তির মূল ভিত্তি এবং এটিই ইমাম খোমেনী (রহ.) আমাদের জন্য রেখে গেছেন এবং আজ আমরা এই কৌশলের ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি; ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর চিন্তা অনুযায়ী, বিজয় সেই জাতিরই যারা প্রতিরোধের চেতনার পাশাপাশি সম্মিলিত কাজ এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে অন্যের উপর নির্ভরতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে, পূর্ব নয়, পশ্চিম নয়, ইসলামী প্রজাতন্ত্রের স্লোগান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যার ভিত্তিতে জাতি অন্যের উপর নির্ভরতা ছাড়াই স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে এগিয়ে যেতে পারে এবং তার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে।

স্বয়ংসম্পূর্ণতার ব্যাপারে ইমাম খোমেনী (রহ.) দেখিয়ে দিয়েছেন যে, বিশ্বশক্তির উপর নির্ভরতা ছাড়াই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

প্রতিরোধ ও স্বনির্ভরতা অর্জনের মতো দুটি বিষয় যা ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর চিন্তাদর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

মরহুম ইমাম (রহ.) চেয়েছিলেন সমাজের সুযোগ-সুবিধা সকলের জন্য সহজলভ্য হোক এবং সাধারণ জনগণের কাছে সহজলভ্য হোক এবং এই ক্ষেত্রে তিনি সুবিধাবঞ্চিতদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।#