এই সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে শিক্ষা, গবেষণা এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা ছিন্ন করা, ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিনিয়োগ এবং ছাত্র বিনিময় চুক্তি সমাপ্ত করা।ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আর সহযোগিতা করবে না।
গাজা যুদ্ধের কারণে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকৃত ফিলিস্তিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় জেরুজালেমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার একদিন পরই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিলো ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি।
ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দিনের প্রচারণার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইমেলের মাধ্যমে তাদের অবহিত করেছে। গাজায় যুদ্ধ এবং মানবিক সংকট সৃষ্টির প্রতিবাদে ছাত্ররা ওই আন্দোলন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নর বোর্ডের চেয়ারম্যান পল ফ্যারেলের জারি করা এক বার্তায় বলা হয়েছে: "ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি ইসরাইল ও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল কোম্পানির সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। যতদিন পর্যন্ত গাজায় আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইন লঙ্ঘন অব্যাহত থাকবে ততদিন এই অবস্থান বহাল থাকবে।"
আয়ারল্যান্ড এমন একটি দেশ যারা গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনি পদক্ষেপকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করেছে। আইরিশ সরকারও গত মে মাসে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মার্কিন সরকারের সহায়তায় ইহুদিবাদী ইসরাইল ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫ পর্যন্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই পাশবিক যুদ্ধে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) ধ্বংস এবং ইহুদিবাদী বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার ঘোষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি ইসরাইল।
২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারী হামাস এবং ইসরাইল সরকারের মধ্যে একটি চুক্তির ভিত্তিতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরাইল আবারও গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। গাজা উপত্যকার গৃহহীন নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধ বন্ধে বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক ফলাফল আসে নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি শহীদের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছেড়ে গেছে।#পার্সটুডে
342/
Your Comment