ভিন্ন এক গাদীরে খুম

আহলুল বাইত (আ.) বার্তা - আবনা - সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী : পদযাত্রার রুটটি ছিল সাধারণ, জাঁকজমক ছাড়া, কোন আনুষ্ঠিকতা ছাড়া , ঠিক যেন শোকাহত হৃদয় এবং সত্য ছাড়া আর কিছুই বলতে চায় না। মানুষের হৃদয় থেকে আসা মিছিল, আপ্পায়নের জন্য রুটি এবং খেজুর, ভালোবাসা দিয়ে তৈরি শরবত এবং আলী ইবনে আবি তালিব (আঃ) এর পতাকা ও কিশোরদের হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড: " আমরা আলী (আ.)-এর যুলফিকার" "কঠোর প্রতিশোধ," "ইসরায়েলের মৃত্যু।"

স্বাধীন চিত্তে বলুন ইহুদি জায়নবাদীর পতন হোক, ধ্বংস হোক

ভিড়ের মধ্যে একটি মেয়ে বলল: "ইসরাইল সত্তর বছর ধরে হত্যা করে আসছে। নারী হোক বা শিশু, বৃদ্ধ হোক বা তরুণ, তাতে কিছু যায় আসে না। তারা ফিলিস্তিনকে দখল করে নিয়েছে। এই শিশুহত্যাকারী শাসনব্যবস্থা একটি হত্যাযন্ত্রের মতো, অসহায় মানুষের সমস্ত জীবন কেড়ে নিচ্ছে

জীবনে একবারের জন্য হলেও এই নৃশংস শাসনব্যবস্থার নিন্দা করার সাহস করুন, ইতিহাসের সঠিক দিকে দাঁড়ানোর সাহস করুন এবং নীরব না থেকে এই শিশু হত্যাকারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং স্বাধীন হবার চেষ্টা করুন ও স্বাধীন চিত্তে বলুন ইহুদি জায়নবাদীর পতন হোক, ধ্বংস হোক।

আমাদের আজকের গাদীর অর্থাৎ ন্যায় বিচারের সাথে আনুগত্যের শপথ

পদযাত্রা এগিয়ে যায়, কিন্তু পরিবেশটি উদযাপন বা শোকের নয়, বরং এর মাঝখানে কিছু: চিৎকার, তিক্ত হাসি এবং দৃঢ় পদচিহ্নে ভেঙে যাওয়া নীরবতা। এক যুবক প্লাকার্ড বিতরণ করছিল যেখানে লেখা ছিল

১- যেমন আলী আলাইহিস সালামের যুলফিকার ছিল, তেমন আমাদেরও থাকবে।

২- গাদীরে খুম যেমন বেলায়াতের দলিল, কেমন আজকে আমাদের প্রতিরোধ হচ্ছে সততার নিদর্শন।

৩- আমাদের আজকের গাদির অর্থাৎ ন্যায় বিচারের সাথে আনুগত্যের শপথ।

Coming soon- একটি বুথ যার জেরুজালেমে শীঘ্রই নতুন শাখা খোলা হবে

পদযাত্রার পথে একটি বুথ যা মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল তা হল “ইবনে আল-হায়দার (আঃ)-এর বুথ; এমন একটি বার্তা যা জনতার মুখে হাসি ফুটিয়েছিল এবং একই সাথে মনে আশা ও প্রতিরোধের চিহ্ন রেখেছিল। একটি সাদা ব্যানারে, মোটা অক্ষরে লেখা ছিল: “শীঘ্রই আসছে (শীঘ্রই) জেরুজালেমে একটি নতুন শাখা খোলা হবে।”

সাইনবোর্ডটি কেবল একটি বাক্য ছিল না, বরং একটি বার্তা ছিল; একটি স্লোগান যা একটি খালি প্রতিশ্রুতি ছিল না, কেবল একটি ব্যঙ্গাত্মক রসিকতা ছিল না, বরং একটি বাক্য ছিল যা একটি পুরানো এবং গভীর বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত হয়েছিল; একই চিরন্তন নিশ্চিততা থেকে যে জেরুজালেম শীঘ্রই মুক্ত হবে। জনগণ দাঁড়িয়েছিল, ছবি তুলেছিল এবং কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে একই বাক্যটি পুনরাবৃত্তি করেছিল। কেউ কেউ ফিসফিসিয়ে বলেছিল: "শীঘ্রই..." এবং এই "শীঘ্রই" তাদের হৃদয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ অর্থ বহন করেছিল।

এবছর গাদীরে খুমের আনন্দ উৎসব ছিল ভিন্ন। সকলেই এসেছিল বলতে যে আমিরুল মোমেনীন আলী আলাইহিস সালামের পথ হচ্ছে একটি ঐতিহাসিক পথ এবং আমাদেরকে এই পথেই চলতে হবে যে পথ ন্যায় বিচারের পথ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফরিয়াদ করার পথ, এই পথের অনুসারী প্রজন্ম কখনোই ধোকা খাবে না, যে প্রজন্ম বোমার শব্দ শুনেছে হাজারো হাজার গৃহহীন ও নিষ্পাপ শিশুর শাহাদাত প্রত্যক্ষ করেছে, অন্যায় অত্যাচার দেখেছে এবং এখন শুধুমাত্র একটি শব্দই চিৎকার করে প্রতিশোধ।