২ জুলাই ২০২৫ - ০০:৩৫
জুলাই শহীদদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন ও জাতীয় সংগীত

গণতন্ত্রের জন্য আত্মত্যাগকারী জুলাই শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পেরিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আসিফুজ্জামান রিপন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, গত পনের বছর ধরে দেশে যে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছিল, তার বিরুদ্ধে ছাত্রদলসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির তরুণ প্রজন্ম জাগ্রত হয়েছে। স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার হরণ করা হলেও ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, জুলাই আন্দোলন শুরু হয়েছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে, তবে খুব দ্রুত ছাত্রদল রাজপথে নেতৃত্ব দেয়। একক ছাত্রসংগঠন হিসেবে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য কর্মী নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তাঁদের আত্মত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না।
বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান বলেন, এই আন্দোলন একদিনে আসেনি। যেমন ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান আসাদের রক্তের মাধ্যমে এসেছে, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সফল হয়েছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। ঠিক তেমনই এই আন্দোলনও ইতিহাস গড়েছে। শহীদ ওয়াসিম, সাঈদদের রক্ত বৃথা যাবে না। ইনশাআল্লাহ, তারেক রহমান নেতৃত্ব দিতে দেশে ফিরে আসবেন এবং বাংলাদেশ পরিচালনা করবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটি শুধু একটি প্রজ্বলন নয়, এটি শুধু একটি প্রজ্বলন নয়, আজকের মোমবাতি প্রজ্বলন আগামী দিনে গণতন্ত্রের পদযাত্রায় এগিয়ে যাওয়া। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্রের মিনার, অধিকার প্রতিষ্ঠার মিনার।
তিনি বলেন, আমরা যখন আগে নৌকায় করে অনেক দূরে যেতাম, মাঝি বলতো চুপ থাকুন ওই গ্রাম ডাকাতদের গ্রাম। হাসিনার আমলে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ডাকাতদের গ্রাম। অনেক আতঙ্ক নিয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পার হতাম। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি সেই বায়ান্ন, ঊনসত্তরের বিশ্ববিদ্যালয় দেখছি যেখানে বইছে শান্তির সুবাতাস।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাঁধা দিলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা সবকিছু দিয়ে ছাত্রদের স্তব্ধ করে দেবো। এতো কিছু থাকার পরেও গণতন্ত্রের জন্য ছাত্রদের যে সংগ্রাম তাকে শেখ হাসিনা ঠেকাতে পারেনি। আজকের আলোক প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে আমাদের ৩৬ দিনের কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন হলো।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনীর কাছে ছাত্রদলের কত নেতাকর্মী গুম, খুন হয়েছেন। তারা নব্বই, আশির দশকে যে ভূমিকা পালন করেছে সেভাবে তারা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও ভূমিকা রেখেছে। এই সংগ্রাম বাস্তবায়ন করতে হলে আরও বাধা আসবে। সেই বাধা অতিক্রম করে আমরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করবো।

Your Comment

You are replying to: .
captcha