আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): রয়টার্স এর রিপোর্ট অনুযায়ী: গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থাপনায় হামলা চালায়। এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ থেকে বিরত রাখা। ইরান দাবি করেছে যে এই হামলায় তাদের স্থাপনাগুলোতে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে, তবে বিস্তারিত তথ্য এখনো স্পষ্ট নয়।
আইএইএ প্রধান গ্রোসি বলেছেন, ইরানের কিছু পরমাণু স্থাপনা এখনো অক্ষত রয়েছে এবং তারা কয়েক মাসের মধ্যেই আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে সক্ষম হবে, সম্ভবত এর চেয়েও দ্রুত। তিনি বলেন, “তাদের হাতে আনুমানিক ৪০৮.৬ কেজি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা বেসামরিক ব্যবহারের চেয়ে অনেক বেশি, তবে এখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার নিচে।” এই ইউরেনিয়াম আরও সমৃদ্ধ করলে তাত্ত্বিকভাবে ৯টির বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরি সম্ভব। তবে, এই ইউরেনিয়ামের মজুদ কোথায় আছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
জ্ঞান মুছে ফেলা যায় না—গ্রোসি
আইএইএ প্রধান বলেন, "ইরান একটি পরমাণু প্রযুক্তিতে দক্ষ দেশ। আপনি এই দক্ষতাকে অস্বীকার করতে পারবেন না। একবার শিখে গেলে সেটা আর ভুলে যাওয়া যায় না।"
এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন—যদি ইরান আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও হামলার কথা বিবেচনা করবে।
গ্রোসি আরও জানান, বোমা বর্ষণের আগে ইরান তাদের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ কোথায় সরিয়ে রেখেছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যা শান্তিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যেমন ব্যবহৃত হতে পারে, তেমনি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্যও ব্যবহারযোগ্য। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে ইরানের এই সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
আইএইএর পর্যবেক্ষণ চললেও এই ঘটনাপ্রবাহে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
Your Comment