৫ জুলাই ২০২৫ - ০১:০০
গাজায় হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ জানিয়েছেন, গাজা ধ্বংস করার জন্য হিরোশিমার চেয়েও ছয়গুণ বেশি শক্তিশালী বোমা ফেলেছে ইসরায়েল।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আলজাজিরার সূত্র অনুযায়ী:  আলবানিজ জানিয়েছেন, গাজা ধ্বংস করার জন্য হিরোশিমার চেয়েও ছয়গুণ বেশি শক্তিশালী বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। তিনি জানান, গাজা ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েল ৮৫ হাজার টন বিস্ফোরক নিক্ষেপ করেছে। এতে সহায়তাকারী অস্ত্র কোম্পানিগুলো প্রায় রেকর্ড মুনাফা অর্জন করেছে। গাজায় আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যার জন্য ইসরায়েলই দায়ী।


ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল পরিচালিত তথাকথিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনকে’ ‘একটি মৃত্যুফাঁদ-যা ক্ষুধার্ত, বোমাবর্ষণকারী, ক্ষীণকায় জনগোষ্ঠীকে হত্যা বা পালিয়ে যেতে বাধ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে’ বলে নিন্দা করেন। তিনি বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি ভয়াবহ। সরকারি পরিসংখ্যানে ২ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছেন। তবে শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৮১ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত ত্রাণকেন্দ্রে যাওয়া ১২ জন ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত মোট ৬৫২ ত্রাণপ্রার্থী ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন চার হাজার ৫৩৭ জন। 

এ অবস্থায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত যুদ্ধের সময় বিভিন্ন মহলের ‘অর্থনৈতিক লাভের’ কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত ২০ মাসে অস্ত্র কোম্পানিগুলো গাজায় বোমা হামলার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র ইসরায়েলকে সরবরাহ করে ‘প্রায় রেকর্ড মুনাফা’ অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, ‘গাজা ধ্বংস করার জন্য ৮৫ হাজার টন বিস্ফোরক- হিরোশিমার ছয়গুণ শক্তিশালী-এগুলো নিক্ষেপ করার জন্য ইসরায়েলকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে অস্ত্র কোম্পানিগুলো প্রায় রেকর্ড মুনাফা অর্জন করেছে।

আলবানিজ বলেন, ‘গণহত্যা এটি এতই দৃশ্যমান, এতই সরাসরি সম্প্রচারিত-এসবের মুখে এই ব্যাখ্যাগুলো (অজ্ঞতা কিংবা আদর্শগত কারণ) অসম্পূর্ণ।’

তিনি নাগরিক সমাজের প্রতি গণহত্যা বন্ধে সরাসরি ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার কাউন্সিলে বক্তব্য শেষ করেন। তিনি বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়ন, আইনজীবী, নাগরিক সমাজের সংগঠন, সাধারণ নাগরিকদের ও সরকারগুলোর পক্ষ থেকে বয়কট, নিষেধাজ্ঞা এবং জবাবদিহিতার জন্য চাপ দিয়ে আচরণগত পরিবর্তনকে উৎসাহিত করা উচিত। এরপর কী হবে, তা আমাদের সবার ওপর নির্ভর করে।

Your Comment

You are replying to: .
captcha