খান ইউনিস এলাকায় জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ‘মর্মান্তিক ঘটনায়’ ১৯ জন পদদলিত হয়ে মারা গেছেন এবং একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে জিএইচএফ আরও বলে, তারা বিশ্বাস করে যে এই ভিড় ‘জনতার মধ্যে মিশে থাকা বিক্ষোভকারীদের দ্বারা সৃষ্ট’ যারা হামাসের সাথে যুক্ত ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের এই খবর যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল আগে বলেছিল যে জিএইচএফ নিযুক্ত মার্কিন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের দ্বারা একটি ত্রাণকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার পর ‘শ্বাসরোধ’ মারা যাওয়া ১০ জনের লাশ তারা পেয়েছে। মে মাসের শেষের দিকে জিএইচএফের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ত্রাণ চাইতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন যে বেশিরভাগই ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ছয় সপ্তাহে দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় জিএইচএফের চারটি স্থাপনার আশেপাশে ৬৭৪টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য ত্রাণ কনভয়ের পথে আরও ২০১টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে, যোগ করেছে তারা। এর আগে গাজার একটি ত্রাণকেন্দ্রের নিরাপত্তারক্ষী বিবিসিকে বলেছেন যে, তিনি তার সহকর্মীদের ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে দেখেছেন। বুধবারের আগ পর্যন্ত জিএইচএফ তাদের স্থাপনার কাছাকাছি কোনো মারাত্মক ঘটনার কথা অস্বীকার করে আসছিল। তারা জাতিসংঘের বিরুদ্ধে গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ পরিসংখ্যান ব্যবহারের অভিযোগও এনেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গত সপ্তাহে বলেছিল যে তারা স্বীকার করেছে, এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি হয়েছে এবং তারা ‘জনগণ ও (ইসরাইলি) বাহিনীর মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার’ জন্য কাজ করছে। ইসরাইলি সামরিক এলাকায় ত্রাণ বিতরণের জন্য জিএইচএফ ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যবহার করে। জাতিসংঘ তাদের সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাদের স্থাপনাকে অনৈতিক বলে বর্ণনা করেছে। সূত্র: বিবিসি। |
১৭ জুলাই ২০২৫ - ১৯:১৬
News ID: 1708944

দক্ষিণ গাজার একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবার সংগ্রহের চেষ্টারত ২০ জন নিহত হয়েছেন এবং ‘বিশৃঙ্খল ও বিপজ্জনক’ ভিড়ের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিতগাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)।
Your Comment