আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, আজকের বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু ইউরোপীয় দেশ একতরফা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে এবং নিজেদের মতামত অন্য দেশের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে—যা ইরান ও বেলারুশ কারও পক্ষেই গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
পেজেশকিয়ান বেলারুশ সফরের শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশিঙ্কোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। তিনি বলেন, বেলারুশে আসার সুযোগ পেয়ে তিনি আনন্দিত এবং এই সফরে উভয় পক্ষের আগ্রহের বিষয় এবং পারস্পরিক সম্ভাবনা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা ও সমঝোতা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইরান ও বেলারুশ কেবল দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই নয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বহু বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান রাখে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্টের মতে, ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO) ও ব্রিকস—এই প্ল্যাটফর্মগুলো দুই দেশের জন্য গঠনমূলক সহযোগিতা ও সম্পর্ক বিস্তারের একটি কার্যকর ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
পেজেশকিয়ান বলেন, “পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে নিজেদের শর্ত ও কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ করতে চায়। তবে ইরান ও বেলারুশ বিশ্বাস করে যে, যারা অন্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়, তাদের তুলনায় আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। বরং আমরা একসঙ্গে কাজ করলে সেই চাপ ও বাধাগুলো সহজেই অতিক্রম করতে পারব।”
বৈঠকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, তার দেশ সবসময় ইরানের নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে। তিনি আশ্বাস দেন, দ্বিপাক্ষিক সৌহার্দ্য ও আস্থার পরিবেশে দুই দেশের সহযোগিতা আরও প্রসারিত হবে।
তেহরান সফরের স্মৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমার ইরান সফরের অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে, বিশেষ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ আমার জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা ছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের সহযোগিতা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। আমরা যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করতে পারি এবং সম্পর্ককে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।
Your Comment