২৩ আগস্ট ২০২৫ - ১৭:২৫
ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বেজে উঠলো সাইরেন

ইয়েমেনের সশস্ত্র হুথি যোদ্ধারা দখলদার ইসরায়েলের দিকে একযোগে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) ইসরায়েলের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে একাধিক সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে এবং আকাশে বেশ কিছু বিস্ফোরণ দেখা যায়।



টাইমস অব ইসরায়েল এবং প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দুটিকেই ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু টুকরো জনপদে পড়ে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এতে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

প্রথমে দক্ষিণ ইসরায়েলের ওপর দিয়ে উড়ে আসা ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, একটি যুদ্ধবিমান ড্রোনের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার পর এটি আকাশেই বিস্ফোরিত হয়।

হামলার সময় গাজা উপত্যকা এবং মিশরের সীমান্তবর্তী এলাকায় সতর্কতামূলক সাইরেন বাজে।

পরে রাত ৯টার কিছু আগে, হুথি বাহিনী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এ সময় মধ্য ইসরায়েলের বিস্তৃত অঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে।

এই মুহূর্তে শাব্বাতের রাতের খাবারের জন্য বাইরে অবস্থান করছিলেন অনেক ইসরায়েলি নাগরিক, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিবৃতির মাধ্যমে হুথি যোদ্ধারা দাবি করেছে, তারা বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে আঘাত হেনেছে এবং দুটি ড্রোনও ছুড়েছে ইসরায়েলের দিকে।

যদিও আইডিএফ জানিয়েছে, তারা আকাশেই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে এবং এখন পর্যন্ত বিমানবন্দরে কোনো সরাসরি আঘাতের প্রমাণ মেলেনি।

এর আগে গত রোববারও বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল হুথি গোষ্ঠী। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশপথে হামলা জোরদার করেছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা আগাম সতর্কতা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির মাধ্যমে হামলাগুলো মোকাবিলা করছে। তবে হুথিদের ধারাবাহিক হামলা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha