আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): এই হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব, যারা সে সময় দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
ইসরায়েলি বাহিনী ও তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা সিনবেত এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা দোহায় হামাসের নেতৃত্বকে টার্গেট করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি মিডিয়া, বিশেষ করে চ্যানেল ১২, দাবি করে হামাসের আলোচনাকারী প্রতিনিধি দলই তাদের মূল লক্ষ্য ছিল।
তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান সেই নেতারা। হামাসের এক জ্যেষ্ঠ সূত্র আল-মায়াদীনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, "আমাদের আলোচনাকারী প্রতিনিধিরা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। ইসরায়েলি হামলা ব্যর্থ হয়েছে।"
হামলার প্রতিক্রিয়া
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।
-
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গোতেরেস এই আক্রমণকে কাতারের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার ওপর 'প্রকাশ্য আঘাত' বলে বর্ণনা করেছেন।
-
আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেদ বলেছেন, আবাসিক এলাকায় এমন হামলা একটি 'ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক পদক্ষেপ'।
-
ইরান জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
-
সৌদি আরব সতর্ক করে দিয়েছে যে এমন হামলা চলতে থাকলে এর ভয়াবহ পরিণতি হবে।
-
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ একে সরাসরি আগ্রাসন বলে বর্ণনা করেছেন।
-
লেবাননের প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলেছেন, এটি ইসরায়েলের পুরোনো অভ্যাস—এই অঞ্চলকে অস্থির করে তোলারই পুনরাবৃত্তি।
এছাড়াও, ওমান, আলজেরিয়া, জর্ডান, তুরস্ক, ইরাক, কুয়েত এবং মিশরসহ অন্যান্য আরব দেশগুলো কাতারের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা কাতারের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে আছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনও এই হামলার নিন্দা করেছে।
এই হামলার পর দোহায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কাতারি জনগণ দৃঢ়ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। কাতারের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ দেয়নি। তবে আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র নিন্দা ইসরায়েলকে কূটনৈতিক চাপের মুখে ফেলেছে।
Your Comment