আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী দ্রুতগতিতে একের পর এক হামলা চালিয়ে পুরো নগরীকে দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গাজা সিটির পশ্চিমাংশে এখন বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো ঘনবসতিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে অনেকেই দক্ষিণের তথাকথিত নিরাপদ অঞ্চল আল-মাওয়াসিতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে আবার গাজা সিটিতেই ফিরে আসছে।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, “দক্ষিণে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল-মাওয়াসি এলাকা ভিড়ে পূর্ণ, ডেইর আল-বালাহও ঠাসা। অনেকেই আশ্রয় না পেয়ে আবার গাজা সিটিতে ফিরে আসছেন।”
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNRWA) জানিয়েছে, গাজার ৮৬ শতাংশ এলাকাই হয় সামরিকীকৃত, নয়তো বাস্তুচ্যুতির হুমকির মুখে।
শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা সিটির শাতি শরণার্থী ক্যাম্পের তিনটি জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল ধ্বংস হয়েছে, যেগুলোতে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া পাবলিক প্রসিকিউশন ভবন, উঁচু টাওয়ার, এমনকি ফোন ও লাইট চার্জ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ডাইনিং হলেও আঘাত হেনেছে ড্রোন।
গাজার বাইরে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের আল-ওয়াদিতে ত্রাণ নিতে গিয়ে সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুড়েইজ ক্যাম্প, প্যালেস্টাইন স্টেডিয়াম, খান ইউনিসের আল-আমাল পাড়া ও বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতেও হামলা চালানো হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিজনিত কারণে সাতজন মারা গেছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন ৪২০ জন, এর মধ্যে ১৪৫ জন শিশু।
Your Comment