আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ফিলিস্তিন ও সাইপ্রাসের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে বাংলাদেশ। এ পদে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে মনোনীত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
জাতিসংঘে সাধারণত পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে পালাক্রমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এবার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের পালা। এ অঞ্চলের তিন দেশ প্রার্থী হিসেবে লড়ছে। এরা হলো- বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন ও সাইপ্রাস।
এর আগে ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের ৪১তম সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। ঠিক ৪০ বছর পর এবার আবারও বাংলাদেশ এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশের পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করা হবে। প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা এ নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেবেন। আগামী ২০২৬ সালের মে পর্যন্ত এই প্রচার কার্যক্রম চলবে।
সূত্রমতে, অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশন, আন্তর্জাতিক উপস্থিতি ও প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা বড় ভূমিকা রাখবে।
অনেকের মতে, সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় বাংলাদেশের জয় সহজ হবে না। বিশেষত: আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী নতুন সরকারের গঠনের পর এই প্রার্থিতার প্রভাব কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
এদিকে এমন এক সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- যখন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনের পৃথক রাষ্ট্রের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ফিলিস্তিন পরে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ পাঁচ বছর আগে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। তাই বাংলাদেশের পদপ্রার্থিতা ন্যায্য।
তবে কূটনৈতিকদের মতে, ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এ নির্বাচনে অদ্ভুত এক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ ফিলিস্তিন-কে সমর্থন করে আসছে এবং জাতিসংঘে বিভিন্ন ভোটে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে।
Your Comment