৫ নভেম্বর ২০২৫ - ০৭:১২
বেলায়াতের প্রতিরক্ষা হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর দেওয়া মহান শিক্ষা।

হযরত মাসুমা (সা.আ.)এর পবিত্র মাজারের বক্তা বলেন: "হযরত ফাতেমা (সা.আ.) এর মহান শিক্ষা হলো যেভাবে তিনি তাঁর সমস্ত সত্তা দিয়ে বেলায়াতের রক্ষায় এগিয়ে গিয়েছিলেন, আমাদেরও বেলায়াতের প্রতিরক্ষক হতে হবে এবং সকল পরিস্থিতিতে যুগের ইমামকে সমর্থন করতে হবে।"।"

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হযরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.)-এর শাহাদাত দিবসে হযরত মাসুমা (সা.আ.)-এর পবিত্র মাজারে এক শোক সমাবেশে, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন, সাইয়্যেদ হুসাইন মোমেনি, শাহাদাত দিবসে শোক প্রকাশ করে বলেন: "হযরত যাহরা (সা.আ.) মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর সর্বদাই কান্না ও বিলাপে থাকতেন, এতটাই যে ইতিহাসে তাঁকে "ক্রন্দনকারী" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।"




তিনি  বলেন: ফাতেমা (সা.আ.)-এর কান্নার মূল কারণ কেবল ব্যক্তিগত সমস্যা বা ফাদাকের ঘটনা ছিল না, বরং দুটি বড় দুঃখ তাঁর পবিত্র সত্তাকে ব্যথিত করছিল: প্রথমত, মহানবী (সা.)-এর ওফাত এবং দ্বিতীয়, আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.)-এর মযলুম পরিস্থিতি।


মোমেনি আরও বলেন: ফাতেমা (সা.আ.) তাঁর মহৎ জীবনের শেষ মুহূর্তে, যখন তাঁর মাথা আমিরুল মুমিনীন (আ.)-এর কোলে ছিল, বলেছিলেন: “হে আলী,  রাতের আধারে আমার গোসল দিও, আমাকে কাফন ও নামাজ পড়ার পর, নিজেই আমাকে দাফন করো। তিনি ওসিয়ত করেন যেন কোন অত্যাচারি তাঁর জানাযায় নামাজ না পড়ে এবং তাঁর কবরের স্থানও সকলের জন্য অজানা থাকে।

মোমেনি তার বক্তব্যের শেষে বলেন: "ফাতেমা (সা.আ.)-এর মহান শিক্ষা হল যে আমাদের উচিত যুগের ইমাম (আ.)-এর আবির্ভাবের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করা এবং  যেভাবে হযরত যাহরা (সা.আ.) তাঁর সমস্ত সত্যা দিয়ে বেলায়াতের রক্ষায় রুখে দাড়িয়েছিলেন, আমাদেরও অবশ্যই বেলায়াত রক্ষা এবং প্রতিটি পরিস্থিতিতে যুদের ইমামকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।"

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha