আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): পুলিশের মুখপাত্র নাহুম দাসো স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, শক্তিশালী এই বিস্ফোরণে আরও অন্তত ৩৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
ঘটনার পরপরই উদ্ধারকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে মাইদুগুরির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সন্ধ্যার নামাজের সময় যখন মসজিদটিতে প্রচুর মানুষের সমাগম ছিল, তখনই অতর্কিতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণস্থল ও সংলগ্ন বাজার এলাকা ঘন কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং আতঙ্কিত মানুষ জীবন বাঁচাতে দিগ্বিদিক ছুটছে।
যদিও তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিওগুলোর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তবে ঘটনার ভয়াবহতা পুরো এলাকায় শোক ও আতঙ্কের ছায়া ফেলেছে। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
এখন পর্যন্ত এই নৃশংস হামলার দায় কোনো সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠী স্বীকার না করলেও আঙ্গুল উঠছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠন বোকো হারামের দিকে। নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই এলাকাটিতে বোকো হারাম এবং তাদের সহযোগী সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স’ (আইএসডব্লিউএপি) দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় রয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে বোর্নো অঙ্গরাজ্যে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার অবাস্তব লক্ষ্যে সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করে বোকো হারাম। এর আগেও তারা বহুবার মসজিদ, বাজার এবং জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় আত্মঘাতী হামলা ও আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে নাইজেরীয় সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ দমনে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে। সামরিক অভিযানে সন্ত্রাসীদের শক্ত ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষের ওপর চোরাগোপ্তা ও বিচ্ছিন্ন আত্মঘাতী হামলা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশেষ করে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে লক্ষ্য করে এমন পৈশাচিক হামলা আন্তর্জাতিক মহলেও তীব্র নিন্দার ঝড় তুলেছে। স্থানীয় প্রশাসন গামবোরু মার্কেট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Your Comment