মেদভেদেভ বলেন, ইউক্রেনের সাবেক এবং বর্তমান কর্মকর্তারা কোরিয় স্টাইলের ভাগাভাগি মেনে নেয়ার বিষয়টি এখন আলোচনা করছেন। ১৯৫০ সালের দিকে যেভাবে ভাগাভাগির মধ্য দিয়ে কোরিয় যুদ্ধের অবসান হয়েছিল তেমনিভাবে ইউক্রেন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। ভাগাভাগির এই ধারণাকে ইউক্রেনের কিছু লোক আটকে রেখেছেন। তবে চূড়ান্তভাবে তারা এই বিবৃতি দিতে পারেন যে, “এ যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হতে পারেনি এবং এজন্য বিভক্তির বিষয়টি মেনে নেয়াই শ্রেষ্ঠ পন্থা।”
মেদভেদেভ বলেন, ইউক্রেন দক্ষিণ কোরিয়ার মতো আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবে এবং তারা হারানো ভূখণ্ডের ওপর মালিকানা দাবি করতেই থাকবে। তবে এখানে পার্থক্য হলো- দোনবাস অঞ্চলের জনগণ গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো স্বাধীন কোনো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেনি। সে কারণে করিয় দৃশ্যপট ইউক্রেনে বাস্তবসম্মত হয়ে উঠবে না।
কোরিয় স্টাইলে ইউক্রেনের বিভক্তির এই বিষয়টি মূলত কিয়েভের পক্ষ থেকে এসেছে। গত মাসে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপপ্রধান অ্যালেক্সি দানিলভ দাবি করেছিলেন যে, ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে রাশিয়া কোরিয় স্টাইলে ইউক্রেনকে বিভক্ত করার জন্য লবিং করছে যা কিয়েভ প্রত্যাখ্যান করেছে। দানিলভের এই বক্তব্য নাকচ করেছে মস্কো।#
342/