শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, যক্ষ্মা প্রতিরোধে ব্যবহৃত বিসিজি ভ্যাকসিন ফার্সি ১৩২৬ সাল (১৯৪৭ সাল) থেকে নিয়মিতভাবে ইরানের পাস্তুর ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত হয়ে আসছে এবং এটি এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য হিসেবে বিবেচিত।
পার্স টুডে'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোস্তফাভি স্বাস্থ্য কূটনীতির সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “৭ লাখেরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন ভেনিজুয়েলায় রপ্তানি করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য কূটনীতির উন্নয়নের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।”
তিনি এই রপ্তানিকে স্বাস্থ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন, যা বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ইরানের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রভাব বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রসঙ্গে পাস্তুর ইনস্টিটিউটের প্রধান জানান, “বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য চাহিদা ও আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা ভ্যাকসিনের বৈচিত্র্য এবং রপ্তানির ধারাবাহিকতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছি।”
উল্লেখ্য, ইরানের পাস্তুর ইনস্টিটিউট দেশটির প্রাচীনতম ও সর্বাধিক স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। একশত বছরেরও বেশি সময় ধরে জনস্বাস্থ্য খাতে কাজ করে আসা এই প্রতিষ্ঠানটি ইরান ও অঞ্চলে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কলেরা, গুটিবসন্ত, জলাতঙ্ক, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড ও যক্ষ্মার মতো রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সরবরাহ এই প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অর্জন। এসব ভ্যাকসিন শুধু ইরানের চাহিদাই পূরণ করেনি, গত কয়েক দশকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করা হয়েছে।#
342/
Your Comment