এ নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু করে টানা চারদিনে হামাস তাদের হাতে আটক ৬৯ জনকে মুক্তি দিল। যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে হামাস চারদিনে মোট ৫০ ইসরাইলিকে মুক্তি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল। তবে তারা এর সঙ্গে অতিরিক্ত ১৯ বিদেশি নাগরিককে ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ইহুদিবাদী ইসরাইল চারদিনে চুক্তি অনুযায়ী ১৫০ ফিলিস্তিনিকেই মুক্তি দিয়েছে।
একজন ইসরাইলি মুখপাত্র দাবি করেছেন, এখনও গাজায় ১৮৪ ব্যক্তি আটক রয়েছেন যাদের মধ্যে ১৪ জন বিদেশি এবং ৮০ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
ওদিকে সোমবার রাতে যে ৩৩ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন তাদের মধ্যে তিনজন নারী ও বাকি ৩০ জন শিশু। ইসরাইলি কারাগার থেকে যেসব ফিলিস্তিনিকে চারদিনে মুক্তি দেয়া হলো তাদের সবাইকে গত ৭ অক্টোবরের আল-আকসা তুফান অভিযানের আগে আটক করা হয়েছিল।
এদিকে, সোমবার রাতে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো দু’দিন বাড়ানো হয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এ খবর জানিয়ে বলেছেন, এই দুই দিনে আরো ২০ ইসরাইলি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। এর বিনিময়ে ৬০ ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলের কারাগারগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।
আনসারি আরো জানান, সেইসঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ থাকার পাশাপাশি গাজায় মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ অব্যাহত থাকবে। এই অতিরিক্ত দু’দিনের পর আবারও যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে কাতারের এই মুখপাত্র আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতিকে টেকসই করার জন্য কাতার ও মিশর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এর ফলে অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় আরো বেশি ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে যা গাজাবাসীর জন্য অতি জরুরি ছিল। #
342/