'শক্তিমান মহানবী (সা)-১৯' শীর্ষক সামরিক মহড়া গতকাল শুক্রবার ইসলামী ইরানের উত্তরাঞ্চলে, পারস্য উপসাগরে ও ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌ-শাখার তিনটি অঞ্চলে শুরু হয়।
পার্স-টুডে জানিয়েছে, এই মহড়ার প্রথম দিনের অনুশীলন ছিল নানা অভিযান-যুক্ত। এসবের মধ্যে রয়েছে:
আত্মঘাতী নৌযানের অভিযান
বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মেরিন সেনাদের অপারেশনাল যুদ্ধ
আইআরজিসি নৌবাহিনীর একটি স্মার্ট সাবমেরিন বা চৌকস ডুবোজাহাজ থেকে গোপন কিছু বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি অজানা অস্ত্র হিসাবে একটি টর্পেডো নিক্ষেপ করা
আর্টিলারি রকেট এবং গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে উপকূলীয় প্রতিরক্ষা অনুশীলন করা।
বিপ্লবী গার্ড বাহিনী হেলিকপ্টার-বাহিত মেরিন বা নৌ-সেনা
রকেট ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত আইআরজিসি নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার বহরের উপস্থিতি
বিভিন্ন ধরনের সারফেস টু সারফেস বা ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ মিসাইল তথা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা
আত্মঘাতী ড্রোনগুলোর লড়াই ও টার্গেটগুলোতে আঘাত হানার অনুশীলন
বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা ও ফাইটিং ড্রোনের লড়াই এবং সেগুলোর বহুমুখী অভিযানের অনুশীলন
মেরিন সেনাদের গড়িয়ে পড়ার বা র্যাপিল অভিযানের মাধ্যমে নৌযান আটক করা
সমরাস্ত্র ও যন্ত্রপাতি
স্থানীয়ভাবে তৈরি ও অত্যাধুনিক নানা সমরাস্ত্র ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে এই মহড়ায়। এসবের মধ্যে রয়েছে:
নানা ধরনের সামরিক নৌ-যান বা যুদ্ধ-জাহাজ
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার উপযোগী বিভিন্ন ধরনের গানবোট
থান্ডার ক্লাস শিপ বা জাহাজ
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপক রণতরী শহীদ আবু মাহদি মুহানদিস ও শহীদ সোলাইমানি
বিভিন্ন ড্রোন যেমন:
মুহাজির- ৬
বভার বা বিশ্বাস-৫
নানা ধরনের আত্মঘাতী ড্রোন যাদের নানা বৈশিষ্ট্য গোপন রয়েছে
ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট:
নন-গাইডেড ফজর-৩ রকেট
নন-গাইডেড ফজর-৫ রকেট
যুদ্ধ-জাহাজ-বিধ্বংসী নানা ক্ষেপণাস্ত্র:
৮০ মিলিমিটার নন-গাইডেড রকেট
সামুদ্রিক কাওসার ক্ষেপণাস্ত্র
লেজার-নিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া যান বিধ্বংসী দেহলাভিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র
ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য নাস্র্ ক্রুজ মিজাইল
ফাত্হ্ মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম
বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌ-শাখার রহস্যময় কিছু অস্ত্র
নানা ধরনের গোপন বৈশিষ্ট্যের অত্যাধুনিক টর্পেডো-লঞ্চার বা ডুবো-জাহাজ
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে ও মাইন বিছাতে সক্ষম ও দূর-নিয়ন্ত্রিত সাবমেরিন বা ডুবো-জাহাজ
এই মহড়ার নানা বার্তা
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌ-শাখার পরাক্রম ও নানা শক্তিমত্তা এ অঞ্চলের বাইরের শত্রুদের যে কোনো অনিষ্টতা ও ইরানের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী পদক্ষেপের জন্য হুঁশিয়ারি সংকেত।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীগুলো যে সমরাস্ত্রের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার কাছাকাছি তাও এই মহড়া থেকে স্পষ্ট।
প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য এই মহড়ার বার্তা বন্ধুত্ব ও শান্তির। ইসলামী ইরান এ অঞ্চলের সাগর এলাকার নিরাপত্তা রক্ষার কাজে অংশ নিতে দৃঢ়-সংকল্প। ইরান এ অঞ্চলে যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে এবং ইরান মনে করে যে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য বিজাতীয় শক্তিগুলোর উপস্থিতির প্রয়োজন নেই বরং স্থানীয় শক্তিগুলোই এ জন্য যথেষ্ট।
এ অঞ্চলের আন্তর্জাতিক পানিসীমার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় সক্ষম ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এবং এ ক্ষেত্রে ইরানের ভূমিকা অপরিহার্য ও অতুলনীয়। #
