পার্সটুডে অনুসারে, লেবাননের লেখক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলুশ সম্প্রতি লেবাননের ওয়েবসাইট আল-নাশরায় এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, আমেরিকা দেশটিকে হুমকি দেওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এই নীতিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এর আগে ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা মার্কিনীদের সাথে যেকোনো আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, "মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের সাথে আলোচনা করতে চাইছিলেন না, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি দাবির নিঃশর্ত স্বীকৃতির জন্য একটি নথিতে ইরানেকে স্বাক্ষর করাতে চাইছিলেন। অতএব,এই হুমকির প্রতি ইরানের প্রতিক্রিয়া ছিল নির্ণায়ক। ইরানি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন: "আমি তোমাদের সাথে আলোচনা করব না, তোমরা যা ইচ্ছা করো।"
তিনি আরও বলেন: "সম্প্রতি,ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ইসলামী বিপ্লবের নেতার উদ্দেশ্যে লেখা একটি বার্তা পেয়েছে। যদিও এই বার্তার বিস্তারিত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে,কিছু ফাঁস হওয়া তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে বার্তার বিষয়বস্তু ট্রাম্পের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে খুব বেশি আলাদা নয় এবং এতে আগের হুমকিও রয়েছে।"
আলুশ আরও বলেন: "ইরান হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো অবস্থানে থাকতে চায় না এবং এই ধরনের পরিস্থিতি মেনে নেবেও না। অতএব,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ভবিষ্যতে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনা কেবল পরোক্ষভাবে সম্ভব হবে। ওয়াকিবহাল সূত্রের মতে,ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের হুমকি সম্পূর্ণ এবং স্থায়ীভাবে বাতিল করা,চাপের মুখে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করা, আলোচনা প্রক্রিয়া এবং এর ফলাফল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় গ্যারান্টি প্রদান করা এবং অন্য পক্ষের ভবিষ্যতের চুক্তিগুলো মেনে চলা যাতে জেসিপিওএ থেকে ট্রাম্পের প্রত্যাহারের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।"#
342/
Your Comment