দুই মাস ধরে রাজনৈতিক বিতর্ক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হৈচৈ পড়ার পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আলোচনায় সম্মত হয়েছে। তৃতীয় দেশ হিসেবে আজ শনিবার ওমানের রাজধানী মাস্কাটে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওমানে আসন্ন আলোচনা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ যা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, নিষেধাজ্ঞা এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বছরের পর বছর ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য তীব্র আকার ধারণ করেছে।
তবে, ইরানের কূটনৈতিক কর্মকর্তারা এই আলোচনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য পরিমাপের একটি পরীক্ষা বলে মনে করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি হামানেহ যিনি শুক্রবার ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার প্রাক্কালে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এক্স-এ লিখেছেন: "সৎ উদ্দেশ্য এবং পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে আমরা কূটনীতিকে একটি বাস্তব সুযোগ দিচ্ছি।" আমেরিকার পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করা উচিত যা তাদের প্রতিকূল বক্তব্য সত্ত্বেও নেওয়া হয়েছিল।
ইরানের কূটনৈতিক বিভাগের মুখপাত্র উল্লেখ করে যে তেহরান আগে থেকে বিচার করে না বা ভবিষ্যদ্বাণী করে না। তিনি বলেন, ইরান শনিবার অন্য পক্ষের উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব মূল্যায়ন করতে এবং সেই অনুযায়ী তার পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সামঞ্জস্য করতে চায়।
এর আগে,ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি আমেরিকার দৈনিক পত্রিকা দ্যি ওয়াশিংটন পোস্টে একটি নিবন্ধে ওমানের আলোচনাকে একটি পরীক্ষা হিসেবে আখ্যায়িত করে লিখেছিলেন: "বল এখন আমেরিকার কোর্টে।"
এই প্রসঙ্গে, ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি কমিশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেহনাম সাঈদীও বৃহস্পতিবার বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের পরোক্ষ আলোচনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে,শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিষয়, প্রতিরক্ষা এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি ইরানের জন্য রেড লাইন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা শক্তি অর্জন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অধিকার এবং আমরা এই বিষয়ে কোনও দেশের সঙ্গে আলোচনা করব না।
বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও আশা প্রকাশ করেছেন যে ইরানের সাথে মার্কিন আলোচনা শান্তির দিকে পরিচালিত করবে।অন্যদিকে,পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে উত্তেজনা, যুদ্ধ এবং সংঘাতের প্রধান কারিগর অর্থাৎ ইহুদিবাদী ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক পরিবেশে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন।#
342/
Your Comment