পার্সটুডে জানিয়েছে, ইসরাইলের এই সামরিক বিশ্লেষক "আজ্জাম আবু আল-আদাস" ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রকাশিত ভিডিওগুলোর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেছেন: প্রতিরোধ যোদ্ধারা হাতের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দী ইস্যু এবং মিডিয়ার চাপকে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা এবং চাতুরতার সাথে মোকাবেলা করেছে।
এই সমর বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন: প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রকাশিত ভিডিওগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে এতে করে বন্দীদের মধ্যে চরম হতাশা ও বিধ্বস্ত চেহারা যেমন ফুটে উঠেছে তেমনি ইসরাইলের জন্যও এই বার্তা বহন করে যে তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে।
আবু আল-আদাস প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দীদের ভিডিও প্রকাশের সময় আগে থেকে ঘোষণা করার কথা জানিয়ে বলেন: "প্রতিরোধ যোদ্ধারা সবসময় দখলদারদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চায় যে গাজা উপত্যকায় নৃশংস বোমা হামলার ফলে আরও ইসরাইলি বন্দীর মৃত্যু হবে।"
ইসরাইলের সামরিক বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বন্দীরা নিহত হোক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এমনটাই চান।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি ক্রমেই জোরদার হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: "এটা লক্ষ করা উচিত যে যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অবস্থানের কারণ কেবল গাজা উপত্যকা থেকে বন্দীদের প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থতার কারণে নয় বরং এই সৈন্যরা মনস্তাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে হতাশ হয়ে পড়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সৈন্যদের আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও বেড়ে যাওয়ায় ইসরাইল সরকারের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতানিয়াহু রিজার্ভ সৈন্যদের মনোবল ভেঙে পড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করছেন, যাদের উপর ভর করে তিনি এই যুদ্ধে বিজয়ে আশা করেছিলেন। আবু আল-আদাস উপসংহারে বলেছেন: "আমি মনে করি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি আরো জোরদার হবে। নেতানিয়াহু তার বিরোধীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান যত বাড়াবেন, বিক্ষোভের পরিধি ততই বিস্তৃত এবং সহিংস হয়ে উঠবে।"#
342/
Your Comment