ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা ১৯ এপ্রিল শনিবার ইতালির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি এই আলোচনার পর একটি সম্ভাব্য চুক্তির পথে অগ্রগতির ঘোষণা দিয়েছেন। পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ থেকে শিক্ষা গ্রহণের কথাও বলেছেন তিনি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি ইরানের প্রধান দাবির উপর জোর দিয়ে বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হলো অবৈধ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। তুলনামূলক ভাবে ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই আলোচনা। আগামীকাল বুধবার থেকে ওমানে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে কথা রয়েছে।
ইরানের কূটনৈতিক বিজয়
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফারশিদ বাকেরিয়ান বলেছেন, ইরান আলোচনা বিরোধী বলে যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এটা ইরানের জন্য একটা বড় বিজয়, কারণ ইরান এটা প্রমাণ করেছে যে, মার্কিন গণমাধ্যমের দাবির বিপরীতে তেহরান গঠনমূলক আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বাকেরিয়ান জোর দিয়ে বলেন, ইতালির মতো তৃতীয় দেশে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্যদিয়ে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, এই আলোচনা প্রত্যক্ষ নয় বরং পরোক্ষ এবং সরাসরি আলোচনার গুজব ভিত্তিহীন।
এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে, তবুও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উভয় পক্ষের ইচ্ছা ও আগ্রহের কারণে চূড়ান্তভাবে ফলাফল অর্জন সম্ভব বলে ধারণা করা যায়।
সামনে কী হবে?
বাকেরিয়ান বলেন, আলোচনার বিরোধিতাকারী শক্তি প্রচারণার মাধ্যমে আলোচনার বর্তমান প্রক্রিয়াটি ব্যাহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে, তিনি আশাবাদী চলমান আলোচনা প্রক্রিয়া পরিস্থিতিকে সংঘাত বা যুদ্ধের দিকে পরিচালিত করবে না।
এই আলোচনার মাধ্যমে ইরান কেবল তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণাই নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়নি বরং সবার সামনে এ কথাই স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই কখনও কখনও আলোচনা দীর্ঘায়িত করেছে। বর্তমান আলোচনা প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার এবং এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।#
Your Comment