২৪ এপ্রিল ২০২৫ - ০০:৩২
Source: Parstoday
ইউরোপের অস্ত্র প্রতিযোগিতা; ট্রাম্পের হুমকিপূর্ণ নীতির প্রতিক্রিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকি এবং দুই মহাদেশের মধ্যে নানা ক্ষেত্রে মতপার্থক্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার মধ্যেই ইউরোপ নিজের সামরিক অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে।

বার্তা সংস্থা ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর করা উচিত নয় বলে ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে ইউরোপ নিজেদের জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেছে।  

নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর ইউরোপে সমরাস্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং তা অব্যাহত রয়েছে। ইউরোপ সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়িয়ে বিশ্বের অস্ত্র বাজারেও নিজের উপস্থিতি জোরদার করতে চাইছে।

ইতিমধ্যে পোল্যান্ড এবং তুরস্ক আমেরিকার তৈরি জেটের পরিবর্তে ইউরোফাইটার টাইফুনের জন্য কয়েকশ' ডলারের চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যে কাজ করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপ করার আগে থেকেই ইউরোপীয় দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করে, যদিও এসব দেশ দীর্ঘ দিন এ বিষয়টিকে অনেকটাই উপেক্ষা করে গেছে।

ইউরোপীয় কমিশন মার্চ মাসে প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রায় ৮৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকও ঘোষণা করেছে, তারা নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা প্রকল্পের জন্য তহবিল কমপক্ষে দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে।

হার্ভার্ড ল স্কুলের সিনিয়র ফেলো স্টিফেন এম. ডেভিসের মতে, ইউরোপের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের আসল কারণ হলো প্রতিরক্ষা বিষয়ে ইউরোপকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে  ট্রাম্প প্রশাসনের স্পষ্ট অনীহা।

কয়েক দশক ধরে ইউরোপের বহু পেনশন তহবিল কর্তৃপক্ষ ক্লাস্টার বোমা এবং রাসায়নিক, পারমাণবিক ও জীবাণু বোমা এবং মাইনের মতো অস্ত্র উৎপাদনে সরাসরি বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করেছিল। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ন্যাটো ইউরোপে যুদ্ধের বিস্তার রোধ করার অজুহাত দেখিয়ে সেখানকার বিভিন্ন সরকার, ব্যাংক এবং বেসরকারি তহবিলকে প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগ ও সামরিক অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বলেছিলেন, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো এবং শিক্ষা সব সময়ের জন্য বিনিয়োগের সর্বোত্তম খাত। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে শান্তি বজায় রাখার একমাত্র উপায় হলো সামরিক শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।#

342/

Your Comment

You are replying to: .
captcha