৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৯:২৯
এবার জামেয়া থেকে জিইসি পর্যন্ত জশনে জুলুসের র‍্যালী

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় শোভাযাত্রা—ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে আয়োজিত এ জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ)।



অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ মেহমুদ শাহ (মা.জি.আ)।

জুলুসটি সকাল থেকে মুরাদপুরের জামেয়া মাদরাসা সংলগ্ন ষোলশহর আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়ে মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড় হয়ে পেনিনসুলার সামনে ঘুরে শেষ হবে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে। সেখানে দেশবরেণ্য আলেমরা মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশেষ বক্তব্য রাখবেন।

আয়োজক সংস্থা আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার জানিয়েছেন, জুলুস ঘিরে প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নগরের বিভিন্ন মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে সুসজ্জিত তোরণ, সড়কদ্বীপ ও বিভাজকগুলো সাজানো হয়েছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা, আনজুমানের নিজস্ব পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুনে।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামে এই জশনে জুলুসের সূচনা হয় ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল। তখন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশীন এবং আধ্যাত্মিক সাধক আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রা.) এ শোভাযাত্রার প্রবর্তন করেন। জুলুসের মূল উদ্দেশ্য প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ ও বিশ্বশান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

আনজুমানের মুখপাত্র আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এবং জামেয়ার হাজার হাজার ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় অংশ নেবেন।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha