২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৬:৩৬
ট্রাম্প-নেতানিয়াহু আবারো জরুরী বৈঠকে বসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ সোমবার এ বছর চতুর্থবারের মতো হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): প্রায় দুই বছরব্যাপী ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এ বৈঠকে। এই বৈঠকে নির্ধারিত হতে পারে গাজাবাসীর ভাগ্য।  



ইতোমধ্যে নেতানিয়াহু ফক্স নিউজ-কে জানিয়েছে, ইসরায়েল ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে নতুন পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়। বিভিন্ন ইসরায়েলি এবং পশ্চিমা প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, হামাসকে দুই দিনের মধ্যে গাজায় থাকা বাকি ৪৮ বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পরিকল্পনায় আরও বলা হয়, হামাস যোদ্ধাদের গাজা ত্যাগ করতে দেওয়া হবে বা প্রতিরোধ ত্যাগ করলে তাদের ক্ষমা দেওয়া হবে। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েল সামরিক কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েলি সেনারা ধীরে ধীরে সরে যাবে।

ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে রোববার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর এবং কাতার থেকে নতুন কোনো প্রস্তাব পাননি, যদিও বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের প্রস্তাব দু’দেশকেই পৌঁছে গেছে।

তবে হামাস যুদ্ধ শেষ করার জন্য নতুন প্রস্তাব বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে। তার সশস্ত্র শাখা, কাসসাম ব্রিগেডস সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজা সিটিতে দুই ইসরায়েলি বন্দিকে ধরে রাখায় দলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এ সময় ইসরায়েল স্থল অভিযান এবং আকাশ হামলা বাড়িয়েছে, যা প্রতিদিন ডজনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করছে এবং এলাকায় ধ্বংস বৃদ্ধি করছে।

বিশ্বব্যাপী ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে জোর দাবি তোলা হচ্ছে, এমনই একটি সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে। নেতানিয়াহুর যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আগ্রহ তেমন একটা না থাকলেও ট্রাম্প যদি তাকে বাধ্য করে, তবে গাজা যুদ্ধের একটি পরিসমাপ্তি আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha