আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): মুক্তি পাওয়া কর্মীরা জানান, আটক থাকা অবস্থায় তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখাত, কুকুর দিয়ে হামলার হুমকি দিত এবং মেঝেতে টেনে নিয়ে যেত।
আটককৃতদের কারও আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাদের খেতে দেওয়া হয়নি, ওষুধও দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে আরবি ও মুসলিম কর্মীদের প্রতি আচরণ ছিল আরও অমানবিক।
এক ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কর্মী বলেন, “প্রথম দিন থেকেই আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তারা আমার মুখ ও হাত বেঁধে রেখেছিল, আমি প্রায় নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না।”
তবুও এত নির্যাতন ও অপমানের পরও মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের মিশন থামবে না। গাজায় মানবিক সহায়তা না পৌঁছানো পর্যন্ত গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
এক কর্মী বলেন, “আমরা হয়তো এখন মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে, কিন্তু আসল বিষয় আমাদের মুক্তি নয়—আসল বিষয় হলো গাজার মানুষ। তারা যে কষ্ট সহ্য করছে, আমাদের ৭২ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা তার কাছে কিছুই না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের আবারও নতুন করে একটি ফ্লোটিলা আয়োজন করা উচিত। আমরা যতদূর অনুমতি পেয়েছিলাম, ততদূরই যেতে পেরেছি, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এখন এটি সরকারের দায়িত্ব হওয়া উচিত গাজার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।”
এদিকে, এখনও ইসরায়েলের হেফাজতে রয়েছেন বহু মানবাধিকার কর্মী। তাদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে ইসরায়েল মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Your Comment