আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হযরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.)-এর শাহাদাত বার্ষিকি উপলক্ষে (বর্ণনা অনুসারে, ইসলামের নবীর মৃত্যুর ৭৫ দিন পর) হযরত মাসুমাহ (সা.আ.)-এর পবিত্র মাজার শরিফে শোক অনুষ্ঠানে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিম মীর শাফিয়ী তাঁর বক্তব্য দেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর একটি বর্ণনার উল্লেখ করে তিনি বলেন: ফাতেমা আমার দেহের অংশবিশেষ, হৃদয় এবং আত্মার একটি অংশ, যে ফাতেমাকে কষ্ট দিয়েছে সে আমাকেই কষ্ট দিয়েছে এবং যে আমাকে কষ্ট দিবে সে আল্লাহকে কষ্ট দেয়, কুরআনে বলা হয়েছে:
﴿إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُهِينًا﴾؛
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ক্ষতি করে, তাদের উপর দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর অভিশাপ বর্তাবে এবং তাদের জন্য অপমানজনক শাস্তি ভোগ করতে হবে।
হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর উচ্চ মর্যাদার কথা উল্লেখ করে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যিদ সাদিক মীর শাফিয়ী বলেন: "আয়াত ও বর্ণনার সামান্য উল্লেখ করলেই আমরা স্পষ্ট দেখা যায় যে, মহান আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সা.) এবং আহলে বাইত (আ.)-এর দৃষ্টিতে হযরত সিদ্দিকা ফাতেমা যাহরা (সা.আ.)-এর অস্তিত্ব এক অসাধারণ এবং আশ্চর্যজনক মর্যাদার অধিকারী।"
এই সত্য শত শত আয়াত এবং বর্ণনা থেকে উদ্ভূত এবং হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর প্রতি মহানবী (সা.), আমিরুল মুমিনিন (আ.) এবং পবিত্র ইমামদের (আ.) বাণী এবং আচরণও অন্যদের থেকে আলাদা ছিল।
মীর শাফিয়ী বলেন যে, আল্লাহর ওলীগণ হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর প্রতি অত্যন্ত সৌজন্য ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছিলেন এবং বলেছিলেন: "আমাদেরকে মা ফাতেমাকে অনুসরণ করা উচিত এবং হযরত যাহরা (সা.আ.) কে ওসিলা করে প্রার্থনা করা উচিৎ।
হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর শাহাদাতের ঘটনা এবং তাঁর জীবনী আমাদের ধর্ম ও সম্প্রদায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভকে স্পষ্ট ও শক্তিশালী করে এবং আমাদের আদর্শ ও মাযহাবের প্রতি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে তোলে।"
হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর অনন্য অবস্থানের কথা উল্লেখ করে মীর শাফিয়ী বলেন: মহানবী (সা.) বলেছেন, "ফাতিমা আমার আত্মা, আমার দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থিত আত্মা।" এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে হযরত যাহরা (সা.আ.)-এর আত্মা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূলের আত্মা।
আরো বলেন: মহানবী (সা.) বলেছেন, "যে ফাতেমাকে কষ্ট দিয়েছে সে আমাকেই কষ্ট দিয়েছে, আর যে আমাকে কষ্ট দিয়েছে সে আল্লাহকে কষ্ট দিয়েছে।"
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন:
﴿إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُهِينًا﴾؛
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ক্ষতি করে, তাদের উপর দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর অভিশাপ বর্তাবে এবং তাদের জন্য অপমানজনক শাস্তি ভোগ করতে হবে।
মীর শাফিয়ী এই বলে শেষ করেন: "হযরত জাহরা (সা.আ.) "বিশ্বজগতের প্রতি রহমতের" মূর্ত প্রতীক ছিলেন, তিনি ছিলেন সবচেয়ে ইবাদতকারী।" তিনি সর্বদা সকলের জন্য দোয়া করতেন, কিন্তু যারা নবীজির কথা উপেক্ষা হরে তাঁর শাহাদতের কারণ হয়েছিল তাদেরকে অভিশাপ দিয়েছিলেন ও মৃত্যুর আগ পর্জন্ত ক্ষমা করেননি।
            
            
                                        
                                        
                                        
                                        
Your Comment