১১ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০০:১৫
হামাস: ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জাতিসংঘ বাহিনীর কর্তৃত্ব মেনে নেবে না।

গাজায় ইসরায়েলের ‘জাতিগতনিধন’ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে অগ্রসর হতে প্রস্তুত ইসরায়েল ও হামাস।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাঈম গতকাল রোববার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে থাকা অনেক বিষয় নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন।




নাঈম আরও বলেন, চলমান যুদ্ধবিরতির সময় অস্ত্র ব্যবহার না করা বা অস্ত্র জমা দেওয়া নিয়ে তারা আলোচনা করতে প্রস্তুত; কিন্তু নিরস্ত্রীকরণের দায়িত্ব কোনো আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী নেবে-এটি তারা মেনে নেবেন না।

এ নিয়ে বাসেম নাঈম বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের বাহিনীকে স্বাগত জানাই, যারা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করবে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি তদারক করবে, লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তা জানাবে এবং যেকোনো ধরনের উত্তেজনা প্রতিরোধ করবে।’ কিন্তু হামাস ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ওই বাহিনীর কোনো ধরনের কর্তৃত্ব মেনে নেবে না বলেও জানান নাঈম।

হামাস কর্মকর্তার এই বক্তব্যের আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন এবং গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার নতুন ধাপে প্রবেশ নিয়ে আলোচনা করবেন।

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় অবরুদ্ধ ভূখণ্ডের নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। হামাসের অস্ত্র ব্যবহার না করা বা অস্ত্র জমা রাখার বিষয়ে নাঈম হামাসের যে অবস্থানের কথা বলেছেন, তা ইসরায়েলের পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের দাবি পূরণ করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

হামাস কর্মকর্তা বলেন, হামাসও প্রতিরোধ করার অধিকার রাখে। নাঈম আরও বলেন, অস্ত্র নামিয়ে রাখা হতে হবে এমন একটি প্রক্রিয়ার অংশ, যা একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাবে এবং যেখানে সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি ৫ থেকে ১০ বছর স্থায়ী হতে হবে।

গাজার জন্য মার্কিন খসড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি পথ খোলা রাখা হয়েছে; কিন্তু নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে এটি প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তার দাবি, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলে হামাসকে পুরস্কৃত করা হবে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha