১৬ আগস্ট ২০২১ - ১২:০৬
ত্রিপুরায় স্বাধীনতা নেই, অলিখিত জরুরি অবস্থা চালু হয়েছে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপিশাসিত ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বলেছেন, ত্রিপুরায় স্বাধীনতা নেই, অলিখিত জরুরি অবস্থা চালু হয়েছে। তিনি আজ (রোববার) এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরা লাগামছাড়া পরিস্থিতির দিকে চলে গেছে। গত কয়েকদিনে সন্ত্রাস, পুলিশি সন্ত্রাস, গুণ্ডারাজ, জঙ্গলরাজ, মিথ্যা মামলার পরে আজ আবার অর্থাৎ ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন যে এরকম জঙ্গলরাজের সন্ত্রাস চলতে পারে ত্রিপুরা না দেখলে, ডবল ইঞ্জিন সরকার না দেখলে বোঝা যেত না। সংসদ সদস্যা দোলা সেন ও সংসদ সদস্যা অপরূপা পোদ্দারের উপরে কুৎসিত হামলা হয়েছে। দফায় দফায় হামলা হয়েছে। তিনবার হামলা হয়েছে। দোলা সেনের সহায়ক গুরুতর জখম হয়েছেন। অপরূপা পোদ্দারের ফোন, ব্যাগ কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যাগ একজন বৃদ্ধা কুড়িয়ে তুলে দিয়েছেন বলে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে! এটা কী? স্বাধীনতা দিবস। ত্রিপুরায় স্বাধীনতা নেই। ত্রিপুরায় অলিখিত জরুরি অবস্থা চলছে। এমারজেন্সি চালু করেছে। ত্রিপুরায় অলিখিত জরুরি অবস্থা চালু করেছে বিজেপি সরকার।’  

তিনি বলেন, ‘দুই মহিলা সাংসদ তাঁদের উপরে যেভাবে আক্রমণ করেছে, আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছি। পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক! ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পদ যারা, সাধারণ মানুষ যখন এই সাংসদদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন বা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের পাশে এস দাঁড়াচ্ছেন তাঁদের উপরে আবার আক্রমণ হচ্ছে। এটা কী?’

তৃণমূলের মহিলা এমপি ও নেত্রীদের উপরে হামলা হওয়ায় জাতীয় মহিলা কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে মানবাধিকার কমিশনে বিজেপি’র লোকজন রয়েছে  অভিযোগ করে তাদেরকে ‘দলদাস’ বলে অভিহিত করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।    

342/