আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : আজ তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি’র কথা উল্লেখ করে শীর্ষ শিরোনামে বলা হয়েছে 'কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আমরা কখনই বিজেপি বিরোধী বিকল্প বলছি না। কিন্তু রাহুল গান্ধী এখনও নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। দেশের বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় এ ধরণের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২০২৪ সালে বিষয়টি নির্ণয় হবে জানিয়ে ‘গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আজ বলেন, ‘এটা কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধীকে অসম্মান করা নয়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পর্যবেক্ষণ থেকে বলেছেন, রাহুল গান্ধী বিকল্প মুখ হিসেবে উঠে আসতে পারেননি। তার সুবিধা পেয়েছে বিজেপি। এবার সেই সুবিধা বিজেপিকে পেতে দেওয়া যাবে না। টাইম ম্যাগাজিনে প্রভাবশালী ১০০ জনের মধ্যে ২০ জন রাজনীতিবিদ। এই ২০ জনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আছেন। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক দুনিয়াও মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমপি বলেন, ‘জাগো বাংলা’ পত্রিকা কে পড়ে? তারা নিজেরাই নিজেদের নেত্রীকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলছেন। মানুষ শেষ কথা বলবে। নন্দীগ্রামে তারা বলেছেন।’
উত্তর কোলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা থেকে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সিনিয়র নেতা ও সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশে বিকল্প দরকার। আমি রাহুল গান্ধীকে বহুদিন চিনি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে তিনি এখনও নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। গোটা দেশ মমতাকে চাচ্ছে।’
আজ ‘জাগো বাংলা’য় বলা হয়েছে, ‘টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় বিশ্বের সেরা ২০ জন প্রভাবশালীর তালিকায় নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকায় এই আলোচনাও উঠে আসছে যে, ভারতে মোদিকে টেক্কা দেওয়ার একটি মুখই আছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘জাগো বাংলা’ যাদের পত্রিকা তাদের দায়িত্ব তাদের নেত্রী বা নেতাকে প্রমোট করা। সেজন্য তারা প্রমোট করছেন। কারও যোগ্যতা নিয়ে আমার কোনও প্রশ্ন নেই। যদি মোদিজী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হতে পারবেন। একসময়ে লালুপ্রসাদ যাদবও দাবি করেছিলেন। যে জিতবে সংখ্যা বেশি থাকলে প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু ২০২৪ সালে সেটা নির্ণয় হবে। এখন থেকে ‘জাগো বাংলা’ যদি আমাদের জাগাতে আরম্ভ করে যে ভাই, গাছে কাঁঠাল আছে, গোঁফে তেল লাগাও তাহলে কিন্তু এটা সমীচীন হবে না বলে আমি মনে করি।’
তৃণমূলের দাবি, আগামী নির্বাচনে শক্তিশালী গ্রহণযোগ্য বিকল্প মুখ সামনে রেখে প্রচারে যেতে হবে। আর এই বিকল্প মুখ হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।#
342/