আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : আজ রোববার (১০ অক্টোবর) মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনসে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও সমসাময়িক বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চারদিন আগে জেনেভায় বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সাথে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেছি। তারা সংক্রমণরোধে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের (১২ থেকে ১৭ বছর) ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা মজুত রয়েছে। ৬০ লাখ টিকা ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে। এর মধ্যে চলতি মাসে আরও ৭০ লাখ টিকা আসবে। তখন শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমে কোনো ঘাটতি পড়বে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সাত কোটি ২২ লাখ টিকা পেয়েছি। এর মধ্যে তিন কোটি ৬১ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ এবং এক কোটি ৭৯ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন হাতে এক কোটি ৮১ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে। সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন আছে আরও পাঁচ কোটি ২০ লাখ মানুষের। চলতি বছর আরও প্রায় সাড়ে তিন কোটি টিকা আসবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামী মার্চের মধ্যে ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারবো। এ জনসংখ্যা দেশের ৭০ শতাংশ। জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ কমে এসেছে। হাসপাতালে সাধারণ ও আইসিইউ শয্যা অনেক খালি পড়ে আছে। হাসপাতালে করোনার রোগীর চাপ অনেক কম। দেশে অনেকটা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। তবে, এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। উল্লেখ্যা, দেশে করোনার সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে। টানা পাঁচ দিন দেশে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩–এর নিচে রয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের খবর জানানো হয়। চলতি বছরের মার্চে এসে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। মাঝে কিছুদিন সংক্রমণ কমে এসেছিল। কিন্তু জুনের শেষে গিয়ে রোগী শনাক্তের হার ২০ ছাড়ায়। জুলাইয়ে পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ নিয়েছিল। তবে আগস্টের শুরুর দিক থেকে সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়।
342/